কলকাতা: পুজোর আগে ভয়াবহ বন্যার মুখে বাংলা। অন্তত তেমনটাই আশঙ্কা করছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিশেষজ্ঞরা। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণের জল। নদী-বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে আরামবাগ, খানাকুলে।
জানা যাচ্ছে, ২,৬৭,০০০ কিউসেক হারে জল বেরোচ্ছে দুর্গাপুর থেকে। এখনও ২ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি। আগামী ২-৩ দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিম্নচাপ মধ্যপ্রদেশে সরে গেলেও নিস্তার নেই। ডিভিসির জলে বিপদে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া-সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি।
আরামবাগের হরিণখোলার দর্জিপোতায় মুন্ডেশ্বরী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। গ্রামের মানুষজন বাড়ি ঘর ছেড়ে উঁচু জায়গায় উঠে আসছেন। দামোদর নদীতে জল বাড়ায় প্লাবিত পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম। দামোদর ও মুন্ডেশ্বরী এই দুটি নদীর মাঝে রয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে নদীতে ব্যাপক জলস্ফিতি হয়েছে। দামোদর নদে ডিভিসির ছাড়া জলে সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে।
ডেবরায় কাঁসাই নদীর বাঁধ উপচে আবার কোথাও বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকল গ্রামে! ঘর ছাড়ল একাধিক এলাকার মানুষ,রাজ্য সড়কের উপর কোমর সমান জল, যানচলাচল প্রায় বন্ধ। বাঁধ উপচে জল ঢুকছে গ্রামে। কাঁসাই নদীর জলে প্লাবিত হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি।