কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা দিল্লিতে কৃষিভবনে গিয়েও দেখা পাননি কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির। মন্ত্রী কৃষিভবনে থাকলেও অভিষেকরা দেখা করতে পারেননি। সেই নিয়ে দু’পক্ষেরই বক্তব্য, পাল্টা বক্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর এসবের মধ্যেই আজ কলকাতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। বেলা ১১টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে বেরনোর সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। সোজা রওনা দেন সল্টলেকে বিজেপির পার্টি অফিসের উদ্দেশে। দুপুর ১২টা নাগাদ তিনি সল্টলেকে বিজেপির সদর কার্যালয়ে গিয়ে পৌঁছান। আর এসবের মধ্যেই এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে অভিষেককে বিজেপি অফিসে আসার জন্য বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কলকাতা সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করতে শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন গতকালই বলে দিয়েছেন, “তিনদিন আগে আমরা যখন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কৃষিভবনে গিয়েছিলাম, মহিলা সাংসদদের চুলে মুঠি ধরে এবং ধাক্কা মেরে কৃষি ভবন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আগামিকাল ওদের নেতারা এখানে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। এটাই বাংলার শক্তি।”\
সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির কলকাতায় আসা নিয়ে কটাক্ষ করছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। তাঁর বক্তব্য, “দিল্লিতে গেলাম, তখন পালিয়ে গেলেন। এখন কলকাতা এসেছেন। আমি জানি না এখানে কী করবেন, কতক্ষণ থাকবেন, আমার মনে হয় কিছুক্ষণ পরই পালিয়ে যাবেন।”
প্রসঙ্গত, বাংলার বঞ্চিতদের একশো দিনের কাজের টাকার দিল্লিতে কৃষিভবনে গিয়েছিলেন অভিষেকরা। সেখানে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং ছিলেন না। তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন থাকবেন না। সেই মতো সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন অভিষেকরা। কিন্তু কৃষিভবনে গিয়েও দেখা না মেলায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিষেকরা। এই নিয়ে অবশ্য বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আবার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে বিজেপি অফিসে এসে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তৃণমূল নয়, সাংসদ হিসেবে অভিষেক আসতে পারেন কথা বলতে।”