Kalyanmoy Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠেছে, আপাতত মেয়াদ বাড়ছে না পর্ষদ সভাপতি

Kalyanmoy Ganguly: সূত্রের খবর, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গায় আসতে পারেন কোনও বিভাগীয় প্রধান।

Kalyanmoy Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠেছে, আপাতত মেয়াদ বাড়ছে না পর্ষদ সভাপতি
কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2022 | 7:00 AM

কলকাতা : আপাতত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে না মধ্য শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Secondary Education) সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের (Kalyanmoy Ganguly)। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে কল্যাণময়ের জায়গায় আসতে পারেন নতুন কোনও সভাপতি। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় নাম উঠছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কারণেই কি মেয়াদ না বাড়ানোর ভাবনা? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গায় আসতে পারেন কোনও বিভাগীয় প্রধান। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে। ভয়ঙ্কর সব দুর্নীতির অভিযোগ। হাইকোর্টে বার বার মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। অনেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। সেই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়েও।

উল্লেখ্য, মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে অতীতে বেশ কয়েকবার তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু তিনি সিবিআই অফিসে যাননি। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই সল্টলেকে নিবেদিতা ভবনে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। কিন্তু সেই সময় সেখানে ছিলেন না কল্যাণময় বাবু। তখন পর্ষদের অ্যাডমিন পারমিতা রায়কেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের তরফে যোগাযোগ করা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বলা হয় পর্ষদ অফিসে আসার জন্য। কিন্তু তারপরই দেখা পাওয়া যায় না পর্ষদ সভাপতি।

এদিকে সিবিআইও ছিল নাছোড়বান্দা। পর্ষদ অফিস থেকে বেরিয়ে কাদাপাড়ায় কল্যাণময়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। সেখান থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে আসেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিসে। এরপর পর্ষদের অফিসে বসিয়ে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলে। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে সে দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। বয়ান রেকর্ড করা হয় পর্ষদ সভাপতির। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই দিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।