Mamata Banerjee: যাদবপুরে সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ দিয়ে মমতা বললেন, ‘রাজ্যের জমি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি না’
Mamata Banerjee: যাদবপুর থানার অধীনে ১০ নম্বর বোরোর, ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫৫ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে লর্ড বেকারি মোড়ে জমি দখলের অভিযোগ এসেছে বলে জানালেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, "২৯ কাঠা মূল্যবান জমি তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের। ২০১৮ সালে এলাকার তৎকালীন সাংসদ সৌগত রায় জমিটি একবার জবরদখল মুক্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এটা তদন্ত হবে। খুঁজে দেখো কে করেছে।"
কলকাতা: সরকারি জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই চর্চা চলছে। কয়েকদিন আগেই এই নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পুর প্রশাসনগুলির সঙ্গে বৈঠকে আবারও জমি জবর দখলের অভিযোগ নিয়ে রণংদেহি মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী। যাদবপুর থানা এলাকায় তথ্য সংস্কৃতি দফতরের জমি জবরদখলের অভিযোগে এবার তদন্তের নির্দেশ দিলেন মমতা। একেবারে কোন থানা এলাকায়, কোন বোরোর, কোন ওয়ার্ডে, কোন রাস্তার ধারে… সব উল্লেখ করে দিলেন তিনি।
যাদবপুর থানার অধীনে ১০ নম্বর বোরোর, ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫৫ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে লর্ড বেকারি মোড়ে জমি দখলের অভিযোগ এসেছে বলে জানালেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, “২৯ কাঠা মূল্যবান জমি তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের। ২০১৮ সালে এলাকার তৎকালীন সাংসদ সৌগত রায় জমিটি একবার জবরদখল মুক্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এটা তদন্ত হবে। খুঁজে দেখো কে করেছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরই পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রীকে বলার চেষ্টা করেন, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পাঁচিলের কথা।
সেই কথা শেষ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর পাঁচিল দিচ্ছে না কেন? তারা কি নিজেরা জানে না কোথায় নিজেদের কী জায়গা আছে? সবই কি আমি করব? একেবারে মোড়ের মাথায় জমি।’ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা, রাজ্যের জমি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।