Panchayet Election 2023: পঞ্চায়েতে লড়াইয়ের খরচ জোগাতে ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ CPIM-এর, শুরু ডিজিটালি চাঁদা সংগ্রহ
CPIM: ভোট ময়দানে লড়ার জন্য ক্রাউড ফান্ডিং শুরু করল সিপিএম-এর রাজ্য নেতৃত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে তারা। চাঁদা দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্যও দেওয়া হয়েছে সেখানে।
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election 2023) দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন জমার পালা। মনোনয়ন জমার প্রথম দিনেই (শুক্রবার) পঞ্চায়েতের তিনটি স্তর মিলিয়ে ৩৬০টি মনোনয়ন জমা দিয়ে ফেলেছে সিপিএম (CPIM)। আর এবার ভোট ময়দানে লড়ার জন্য ক্রাউড ফান্ডিং শুরু করল সিপিএম-এর রাজ্য নেতৃত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে তারা। চাঁদা দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্যও দেওয়া হয়েছে সেখানে। ডিজিটাল ওই প্রচারে আবেদন জানানো হয়েছে, ‘মানুষের পঞ্চায়েত’ গড়ার জন্য ‘লালঝান্ডার লড়াইয়ে’ রসদ যোগাতে সিপিএম রাজ্য কমিটির তহবিলে দান করার জন্য।
বামেদের ভোটের মুখে এমন উদ্যোগ অবশ্য নতুন নয়। এর আগে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও অনলাইনে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের উদ্যোগ দেখা গিয়েছে সিপিএমে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে অনুদানের জন্য আবেদন জানাতে দেখা গিয়েছিল সেই সময়েও। নির্বাচনের মতো এক বিরাট কর্মযজ্ঞে খরচের বহরও থাকে অনেক। সেদিক থেকে বিজেপি বা তৃণমূলের মতো রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী দলগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খরচ করে ভোটের প্রচার ও অন্যান্য কর্মসূচি সামাল দিতে হচ্ছে বামেদেরও। অতীতে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে চাঁদা সংগ্রহ করা হত। আর এখন আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাঙ্ক-অ্যাকাউন্টের তথ্য ডিজিটালি প্রচার করে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের পথে বামেরা।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তরুণ প্রজন্মের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যেতেই এই আধুনিকতা বাম শিবিরে। যদিও এই ধরনের উদ্যোগ শুধু বাংলাতেই নয়, বাংলার বাইরেও দেখা গিয়েছে। রাজনীতির কারবারিদের, অনেকেই প্রাক্তন সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমারের বেগুসরাই থেকে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময়ের কথা মনে করাচ্ছেন। সেই সময়েও কানহাইয়ার প্রচারের সময় এভাবে ক্রাউড ফান্ডিং করা হয়েছিল। পরবর্তীতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে বামেদের ‘হল্লা গাড়ি’র পাশাপাশি সাড়া ফেলে দিয়েছিল এই ক্রাউড ফান্ডিং প্রক্রিয়াও। আর এবার পঞ্চায়েত ভোটেও ক্রাউড ফান্ডিংয়ের পথে সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব।
এই বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, ‘আমরা তো কোটি কোটি টাকার কারবারিদের মতো করে রাজনীতিতে দেখি না। নিজেদের পয়সায় এবং মানুষের থেকে সংগৃহীত অর্থে আমাদের চলে। এখন আধুনিক ব্যবস্থায় ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমকেও অনেক সমর্থকদের থেকে অনুদান পাওয়ার চেষ্টা আমরা করে থাকি। অতীতের নির্বাচনেও এমন হয়েছে। এখানেও তাই হচ্ছে। কারণ, চারটে পোস্টার ছাপাতে গেলেও, সেই টাকা আমাদের জোগাড় করতে হয়।’