কলকাতা: প্রথম দফার নির্বাচনে বিশেষ নজর কমিশনের (Election Commission)। শুরুতেই ক্যুইক রেসপন্স টিমের সংখ্যা তিন গুণ বাড়াচ্ছে কমিশন। যে সমস্ত বুথ ছেড়ে গত ভোটে পোলিং এজেন্টরা পালিয়ে গিয়েছিলেন, তার তালিকা হাতে পাওয়ার পরই ওয়েব কাস্টিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে কোথাও কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে পুলিশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে। গাফিলতির প্রমাণ মিললে সরাসরি থানার ওসিকে সরিয়ে দেবে কমিশন।
প্রতি বছরই ক্যুইক রেসপন্স টিম নামানো হয় ভোটে। কোনও ঘটনা ঘটলে দ্রুততার সঙ্গে তারা পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। কিন্তু এ বার সেই সংখ্যাটা তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি গত ভোটগুলিতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করা হত। কিন্তু এবার কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ, ভোটে কোনও বিশৃঙ্খলা ঘটলে বরখাস্ত করা হবে ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা ওসিকেও।
শনিবার ২৭ মার্চ প্রথম দফায় ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এরমধ্যে রয়েছে পুরুলিয়ার ৯টি আসন, ঝাড়গ্রামের ৪টি, বাঁকুড়ার ৪টি, পূর্ব মেদিনীপুরের ৭টি, মেদিনীপুরের ৬টি আসন। প্রথম দফায় মোট ৫৩৯৯টি বুথে ওয়েব কাস্টিং হবে। এর মধ্যে বাঁকুড়ায় ৮৯৮টি, ঝাড়গ্রামে ৬৬০টি, মেদিনীপুরে ১০৪৬টি, পূর্ব মেদিনীপুরে ১২২০ ও পুরুলিয়ায় ১৫৬৭টি বুথ থেকে ওয়েব কাস্টিং হবে।
আরও পড়ুন: পায়েলের পোলিং এজেন্টকে মার; বিজেপি করায় হামলা, দাবি তারকা-প্রার্থীর
একইসঙ্গে প্রথম দফার ভোটেই নামবে ৭৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে বাঁকুড়ায় ৯২, মেদিনীপুরে ১৩৯, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬৯, পুরুলিয়ায় ১৮৬ ও ঝাড়গ্রাম ১৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি চলবে। প্রথম দফাতেই এই কড়াকড়ির মাধ্যমে দুই পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে, অজয় নায়েকরা বুঝিয়ে দিলেন ভোটের পরের সাত দফা কতটা কঠিন হাতে সামাল দেবেন তাঁরা।