কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা অনুমতিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ। কয়েকদিন আগেই এই সিদ্ধান্ত নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিক গেটে এ সংক্রান্ত নোটিসও ঝোলায়। যে বিনা অনুমতিতে বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সহ উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেই নোটিস টিকল মাত্র একদিন। সোমবারই তাতে কালি লেপে দেওয়া হল বলে অভিযোগ। তবে কারা এই কালি লাগাল তার কোনও উত্তর নেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে।
এই নোটিস লাগানোর বিষয় নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “মাঝখানে বহিরাগতদের জন্য অনেকগুলো সমস্যা হয়েছে। বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছিল যা ভীষণভাবে অনভিপ্রেত। এই বহিরাগতদের সঙ্গে এখানকার পড়ুয়াদের একটা অভ্যন্তরীন সমস্যাও প্রকট হচ্ছিল। সে কারণেই কিছু কিছু পদক্ষেপ আমরা করেছি। পুজোর ছুটির সময় আমরা যেমন বহিরাগতদের প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ করেছিলাম। অক্টোবরে পুজোর ছুটির সময় কঠোরভাবে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। পুজোর ছুটির আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল দুর্গাপুজো, কালীপুজোর ছুটি শেষ হওয়ার পর আমরা একটা নোটিস দেব।”
এই পরিকল্পনা থেকেই শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গেটের সামনে নোটিস বোর্ড ঝোলানো হয়। তাতে লেখা ছিল ‘বিনা অনুমতিতে/ উপযুক্ত কারণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ’। মাঝে রবিবার গিয়েছে। সোমবারই দেখা যায় সেই নোটিস বোর্ডে কালি লাগানো হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা নিয়ে এখনও মেলেনি সদুত্তর। তবে এই নোটিস বোর্ড প্রথম থেকেই ভালভাবে নেয়নি এসএফআই, ফেটসু। এই নোটিস বোর্ড লাগানোর বিরোধিতা করেছেন এসএফআই ও ফেটসুর নেতারা। বিবৃতি দিয়েছে এসএফআই। ফেটসু চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদারও কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় সরব হয়েছেন।
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে সমর্থনও জানিয়েছেন পড়ুয়াদের একাংশ। যাদবপুরের গবেষক সঞ্জীব প্রামাণিকের উপর বেশ কয়েকদিন আগে রাতে হামলা হয় ক্যাম্পাসের মধ্যেই। তার দাবি, মদ্যপ বহিরাগতরা কামড়ে তার গালে আঘাত করে। বহিরাগত প্রবেশের নোটিস দেখার পর সঞ্জীব বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসাবে বলতে আমার নিজের সুরক্ষার স্বার্থে বলব এর থেকেও কঠোর পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষের করা উচিত।”