কলকাতা: ফের কুণাল ঘোষ, শুভাপ্রসন্নের তরজা তুঙ্গে। এক ছবিতেই ১৫ লাখ পান বলে রবিবার দাবি করলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। এদিকে শুভাপ্রসন্নের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা তৃণমূল বলেন, কাক এঁকে যদি ১৫ লাখ টাকা পান, তাহলে এবার কোকিল আঁকুন। দ্বিগুণ টাকা পাবেন। শুধু তাই নয়, এর আগে কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, শুভাপ্রসন্নের আর্টস একরের ভিতর একটি খাল ঢুকে রয়েছে। যার জন্য ৪০০ পরিবারকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এদিন এ নিয়ে শুভাপ্রসন্নকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ” ওকে খাল কেটে কুমির আনতে বলো।” অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারিতে ‘দাওয়াত’, ‘পানি’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে শুভাপ্রসন্নের মন্তব্য এবং তার পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের খোঁচা নিয়ে, যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল তার রেশ এখনও চলছেই। এদিন অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন শুভাপ্রসন্ন।
কুণাল ঘোষ প্রসঙ্গে এদিন শুভাপ্রসন্নকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তার জবাব দিতে গিয়ে কিছুটা বিরক্তই হন বর্ষীয়ান এই শিল্পী। শুভাপ্রসন্ন বলেন, “নিজের পয়সা খরচ করেছি। ওদের মতো নয়। আমি কোনওদিন কোনও পদে থেকে সরকারের কাছ থেকে কিচ্ছু নিইনি। একটা ছবি আঁকি, ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পাই।”
এরই পাল্টা কুণাল ঘোষ বলেন, “খুবই ভাল। শুভাদা শিল্পী মানুষ। এটা তো সত্যিই। উনি ভাল কাক এঁকেছেন। যদি ১০-১৫ লক্ষ টাকা পান, এবার তাহলে একটা কোকিল আঁকুন, ৩০ লাখ টাকা পাবেন।” শুধু তাই নয়, সারদা-প্রসঙ্গ তুলে এনে কুণাল বলেন, “শুভাদা বয়স্ক মানুষ, রেগে আছেন। তাই বলেছেন। তবে আমি আবার বলছি, এই ঘটনার উপসংহার কী হয়েছে উনি তো জানেন। সে জন্য একটু রেগে আছেন। সেসব আমি আর মুখে বলছি না। তবে আমি যে সারদার মিডিয়ায় ছিলাম, পৃথিবীর সব লোক জানে। সেটায় গোপনীয়তার কিছু নেই। আমার চেক সই করার কোনও অধিকারও ছিল না। কারও কাছ থেকে ১ টাকা নেওয়ারও অধিকার ছিল না, ১ টাকা দেওয়ারও অধিকার ছিল না। কিন্তু যারা টাকা নিয়েছেন, অধিকারও ছিল, কোম্পানি বিক্রিও করেছেন, বিক্রির পরও ডিরেক্টর থেকে গিয়েছেন, এসব তাদের ব্যাপার। আমি বলতে পারব না। “