কলকাতা: বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) জমি-বিবাদ নিয়ে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অমর্ত্য সেনের নোবেল জয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার নিন্দা করেছে সুশীল সমাজ। এই আবহে রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটির ব্যানারে একটি সাংবাদিক বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মনোজ মিত্র, সুপ্রিয় ঠাকুর, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, জয় গোস্বামী, শুভাপ্রসন্ন, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, অভিরূপ সরকার, সুবোধ সরকার, আবুল বাশার, অরিন্দম শীল, সবুজকলি সেনরা। প্রত্যেকেরই বক্তব্যের নির্যাস, এভাবে গুরুদেবের আশ্রমের যে ঐতিহ্য, তা নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। এদিকে এই সরব হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। তাঁর বক্তব্য, অমর্ত্য সেনকে সামনে রেখে এমন অনেকেই সরব হচ্ছেন, যাঁদের নিজেদেরই জমি রয়েছে বিশ্বভারতীর জায়গায়। নাম করে শুভাপ্রসন্নকে প্রশ্নও করেন শঙ্কু। যদিও পাল্টা শুভাপ্রসন্ন বলেন, সল্টলেক ছাড়া আর কোথাও তাঁর কোনও বাসস্থান নেই।
এদিন একটি ভিডিয়োবার্তায় শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “এখন বিশ্বভারতীতে জমি নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে পৌঁছেছে। দেখছি তথাকথিত তৃণমূলের শুভাকাঙ্খী বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন এটা নিয়ে আন্দোলন করতে। আচ্ছা এই জমি যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা চিৎকার করছেন না তো? তাঁরা অমর্ত্য সেনকে সামনে রেখে নিজেদের অনেক কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছেন না তো? আচ্ছা শুভাদা আপনার ওখানে জমি নেই? আপনি নোটিস পাননি তো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে? আপনার জমি নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি তো? উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।”
এ নিয়ে শুভাপ্রসন্ন বলেন, “আমার সল্টলেকে বাড়ি আছে। আমার আর কোনও প্রয়োজন নেই। আমি বিশ্বভারতীতে কয়েকবার শুধু আমন্ত্রণে গিয়েছি। কোনওরকম কোনও স্বপ্ন নেই বিশ্বভারতীর জমি নেওয়ার বা বাড়ি করার বা কিছু। আমার কোনও লিপ্সা নেই। যে কেউ আমার খোঁজ খবর করতে পারে। এগুলো সব পরিষ্কার। কার কোথায় সম্পত্তি থাকে, কে কীভাবে টাকা রোজগার করে। তাই কুৎসা না রটিয়ে আপনারা সঠিক খবর নিন।”
একইসঙ্গে এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলন প্রসঙ্গে শুভাপ্রসন্ন বলেন, “ক’দিন আগেই আমাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডল জানান, এরকম অবস্থা চলছে। আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত। তখনই আমরা সমমানসিকতার কিছু মানুষকে খবর দিই এবং আজকের দিনটা ঠিক করি। রবীন্দ্রনাথ যে অসাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন, তার আদর্শ লুন্ঠিত হচ্ছে।”