Mamata Banerjee: রাজ্যের কি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রয়েছে? DA নিয়ে সরকারের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানালেন মমতা

DA: ডিএ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্গাপুজোয় ১০ দিন ছুটি দেওয়া হয়। ছটপুজোয় ছুটি থাকে। সারা বছরই প্রচুর ছুটি দেওয়া হয় সরকারের তরফে, এদিন তা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Mamata Banerjee: রাজ্যের কি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রয়েছে? DA নিয়ে সরকারের 'স্পষ্ট অবস্থান' জানালেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 06, 2023 | 6:09 PM

কলকাতা: এবার বোধহয় আরও জটিল হতে চলেছে ডিএ জট। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভা অধিবেশন। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনই ডিএ নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিএ (Dearness allowance) নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগার পাশাপাশি এদিন মমতা বলেন, রাজ্যের কি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রয়েছে? প্রশ্ন তোলেন, সিপিএম কি ৩৪ বছরে ডিএ দিয়েছে? তিনি জানান, ‘টাকার ক্যাপাসিটি নেই’। অর্থাৎ বকেয়া ডিএ আদৌ মিলবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল আরও একবার। বিশেষ করে ধর্মতলায় শহিদ মিনারের কাছে যখন এক মাস পার করে ডিএ-র দাবিতে ধরনা চলছে, ২৫ দিন ধরে চলছে অনশন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেন, ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার জন্য খরচ হয়েছে। যাঁরা সরকারি চাকরি করেন, তাঁদের বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তুলনা করে মমতা বলেন, “রাজ্যের কি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে? ১ লক্ষ কোটি টাকা আমরা এখনও কেন্দ্রের কাছে পাই।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা ও উত্তর প্রদেশ ডিএ দেয় না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার মুণ্ডু কেটে নিন, যদি তাতে সন্তুষ্ট হন। আমার আর দেওয়ার কিছু নেই। যতটা পেরেছি করেছি।”

শুধু তাই নয়, ডিএ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্গাপুজোয় ১০ দিন ছুটি দেওয়া হয়। ছটপুজোয় ছুটি থাকে। সারা বছরই প্রচুর ছুটি দেওয়া হয় সরকারের তরফে, এদিন তা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “৯৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ মিলিয়ে ১০৫ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। টাকা তো আকাশ থেকে পড়বে না?” এদিন অধিবেশন কক্ষে কার্যত হাত জোড় করে বলেন, তাঁর পক্ষে যা দেওয়ার তা দেওয়া হয়েছে। এর থেকে বেশি তাঁর হাতে নেই।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই কলকাতায় শহিদ মিনারের নীচে আন্দোলনকারীরা বলেন, “আমরা কার্যত ১০ বছর ধরে অর্ধেক বেতন পেয়ে আসছি। ওনাকে তো আমরা ছুটি দিতে বলিনি। কেন ছুটি দিচ্ছেন? উনি আমাদের পেটে দেবেন না, পিঠে দেবেন, এটা হয় না।”