কলকাতা: বিসি রায় শিশু হাসপাতালে (BC Roy Child Hospital) আরও এক শিশুর মৃত্যু। শনিবার ভোরের দিকে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর হেলেঞ্চা এলাকার বাসিন্দা ওই শিশুপুত্রের বয়স ৭ মাস। ওই শিশু আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন ছিল। ৯ দিন ধরে ভর্তি ছিল সে। এর আগে তাকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্বর ও শ্বাসকষ্টের জেরে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। আইসিএমআর নাইসেডের সমীক্ষায় ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য়। অ্যাডিনো সংক্রমণে ‘শীর্ষে’ বাংলা। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে নাইসেডের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। অ্যাডিনোর তীব্রতা এখন কমেছে। তবে কেন এমন হল? কীসের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা। সে সব জানতে চেয়ে নাইসেডের কাছে রিপোর্ট চাইবে স্বাস্থ্য ভবন। জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
বিসি রায় হাসপাতালে একের পর এক শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ বাড়ছে বিভিন্নমহলে। বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়মিত জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশি নিয়ে শিশু আসছে বিসি রায় হাসপাতালে। নিয়মিত শিশুমৃত্যুর খবরও আসছে। ইতিমধ্যেই নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত বলেন, “জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত, একমাত্র বাংলাতেই ৩৮ শতাংশ আক্রান্ত অ্যাডিনো ভাইরাসে। কেরল তারপরে। সাধারণত এই ভাইরাস শ্বাসনালিতে সংক্রমণ ঘটায়।” কিন্তু বিসি রায় হাসপাতালের ছবিটা কেন এমন ভয়াবহ?
বিসি রায় শিশু হাসপাতালের উপর অতিরিক্ত চাপ রয়েছে এখন। শহরের অন্যান্য হাসপাতাল এমনকী জেলাগুলিতেই শিশু জ্বর, সর্দির মতো উপসর্গ নিয়ে গেলে তাকে বিসি রায়ে রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। পরিকাঠামোর উপর একটা চাপ বাড়ছে এর জেরে। চিকিৎসকমহল মনে করছে, রেফার সমস্যাটা একটা বড় চাপ হয়ে উঠছে বিসি রায় হাসপাতালের জন্য।