DA Protest: শিক্ষা-স্বাস্থ্য পরিষেবা ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা, ডিএ’র দাবিতে সোমে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতির ডাক
DA Protest: ২৭ জানুয়ারি থেকে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, চিকিৎসক, নার্স, পুরসভার কর্মী, আদালতের কর্মী, পঞ্চায়েত কর্মীদের ২৮টি সংগঠন শহিদ মিনারে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের ব্যানারে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসে।
কলকাতা: মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-এর (DA) দাবিতে সোমবার রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চ’। কর্মসূচিকে সমর্থন করেছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি। সোমবারের কর্মবিরতির কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। তাদের দাবি, এআইসিপিআই অনুসারে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দিতে হবে। আর তা ২০০৯ সাল (বকেয়া-সহ বা এরিয়ার-সহ) থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দিতে হবে। একইসঙ্গে সমস্ত শূন্য পদে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিও তুলেছে তারা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। অফিস গিয়ে উপস্থিতি জানান দেবেন, সই করবেন, কিন্তু কাজ করবেন না সরকারি কর্মীরা। যে শিক্ষকরা স্কুলে গিয়ে উপস্থিতির সই করবেন, তাঁদেরও কাজে না যোগ দেওয়ার আহ্বান করা হয়েছে। যেসব শিক্ষক পূর্ণদিবসের ছুটি নেবেন, তাঁদের শহিদ মিনারে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বাকিদের নিজেদের জেলায় মিছিল করার কথা বলা হয়েছে। হাসপাতালে জরুরি পরিষেবার ছাড়া অফিসিয়াল কাজে যাঁরা যুক্ত, তাঁদেরও কর্মবিরতিতে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
২৭ জানুয়ারি থেকে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, চিকিৎসক, নার্স, পুরসভার কর্মী, আদালতের কর্মী, পঞ্চায়েত কর্মীদের ২৮টি সংগঠন শহিদ মিনারে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের ব্যানারে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসে। পরে আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন সেখানে যোগ দেয়। এখনও অবধি সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের ৩৪টি সংগঠন সংগ্রামী যৌথমঞ্চের ব্যানারে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসেছেন। মূলত তাঁদের দু’টি দাবি। সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগ হোক।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ২ ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতি পালন করা হয় এই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেয় তারা। পুরো বিষয়টি জানিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের সমস্ত ট্রেড ইউনিয়ন, কর্মী ইউনিয়নকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন কর্মবিরতির ডাক। তবে জরুরি পরিষেবা সচল রাখার আবেদনও জানানো হয়েছে গ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে।