Gopal Dalapati: ধারের টাকা শোধ করতে পেল্লাই গাড়ি চড়ে হাজির ‘স্যর’ গোপাল

Supriyo Guha | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 24, 2023 | 7:49 PM

Gopal Dalpati: বাড়ির মালিক মৃণাল দাশগুপ্তের দাবি, তাঁর কাছে কম্পিউটার সেন্টার খোলার জন্য টাকা ধার চান গোপাল স্যর।

Gopal Dalapati: ধারের টাকা শোধ করতে পেল্লাই গাড়ি চড়ে হাজির স্যর গোপাল
গোপাল দলপতি (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কলকাতা: এবার খোঁজ মিলল গোপাল দলপতির (Gopal Dalpati) কোচিং সেন্টারের। দমদম ক্যান্টনমেন্টে খোঁজ মিলেছে ‘গোপাল স্যরের কোচিং’-এর। কারও কারও কাছে তিনি গোপাল দা। প্রশ্ন উঠছে, নিয়োগের নামে নয় ছ’য়ের টাকা কি ঢালা হয়েছে গোপালের কোচিং সেন্টারে? ২০০৪-২০০৫ সালে ওই কোচিং সেন্টারের রমরমা ছিল বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। যেমন তেমন কোচিং সেন্টার নয়, এখানে চলত অঙ্কের প্রশিক্ষণ। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক সময় এই দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় গোপাল দলপতির পরিচিতি ছিল গোপাল স্যর হিসাবে। দমদম ক্যান্টনমেন্টের গোড়াবাজার এলাকায় পোস্ট অফিস রোডের বিশাল এক অ্যাপার্টমেন্ট। সেই জায়গাতেই ছিল গোপাল স্যরের অঙ্কের কোচিং সেন্টার।

যদিও বর্তমানে সেই কোচিং সেন্টারের অস্তিত্ব নেই। স্থানীয় সূত্রে খবর, তবে বছর ১৫ আগে এলাকায় অঙ্কের স্যর হিসাবে পরিচিত ছিলেন গোপাল দলপতি। সে সময় তাঁর কোচিং সেন্টারের রমরমাও ছিল। আপাতত ঝাঁ চকচকে বাড়ি হলেও, আগে এখানে পুরনো বাড়ি ছিল। সেখানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে পড়াতেন গোপাল। সূত্রের দাবি, ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে ঘর ভাড়া নেন। তবে আয় খুব খারাপ ছিল না গোপাল স্যরের।

প্রায় ১০০ জনের কাছাকাছি ছাত্র ছিল কোচিং সেন্টারে। সে সময় নিয়মিত পড়াতেন গোপাল স্যর। সকাল-বিকেল পড়ুয়াদের হইচইয়ে মুখর থাকত এলাকা। স্যরেরও বেশ নাম ছিল। এলাকার লোকজন জানান, বছর দু’য়েক এই কোচিং সেন্টার চলে। তারপর বাড়ির মালিক মৃণাল দাশগুপ্ত গোপাল দলপতিকে কোচিং সেন্টার তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

কিন্তু কেন তুলে দেওয়া হয় গোপাল স্যরের কোচিং সেন্টার। অভিযোগ, শিক্ষকতা করতে করতে গোপাল দলপতি বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিতে শুরু করেন। বাড়ির মালিক থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রী এমনকী তাদের অভিভাবকের কাছ থেকেও টাকা ধার করেছিলেন। আর সেই পাওনা টাকার জন্য কোচিং সেন্টারে এসে তাগাদা দিতেন। যা নিয়ে বিভিন্ন সময় অশান্তিও হতো। সেই ঝঞ্ঝাট এড়াতেই বাড়ির মালিক গোপাল দলপতিকে এখান থেকে চলে যেতে বলেন বলে অভিযোগ।

বাড়ির মালিক মৃণাল দাশগুপ্তের দাবি, তাঁর কাছে কম্পিউটার সেন্টার খোলার জন্য টাকা ধার চান গোপাল স্যর। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক সময় এখানে গোপাল দলপতির বাবার চায়ের দোকান ছিল। সেই জায়গা থেকেই গোপালকে এই ঘর ভাড়া দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বাড়ির মালিকের দাবি, এক সময় গোপাল তাঁর কাছ থেকে যে টাকা ধার নেন, পরে তা শোধও করেন। যেদিন সেই টাকা শোধ করবেন বলে এসেছিলেন, মৃণালবাবুর দাবি, সেদিন একটি পেল্লাই গাড়ি হাঁকিয়ে হাজির হন গোপাল।

Next Article