Cattle Smuggling: গরু পাচার মামলায় এবার তলব তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনকে

সিজার মণ্ডল | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 16, 2023 | 4:37 PM

ED: গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ৮ অগস্ট মাটিয়া থানা এলাকায় পাচারের জন্য আনা গরুভর্তি চারটি ট্রাক পাকড়াও করে পুলিশ। পরে সেই মামলার তদন্তভার নেয় রাজ্য পুলিশের সিআইডি।

Cattle Smuggling: গরু পাচার মামলায় এবার তলব তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনকে
জাকির হোসেন।

Follow Us

কলকাতা: গরু পাচার তদন্তে আরও তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। গরু পাচার মামলায় এবার ইডির স্ক্যানারে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। নজরে এক প্রাক্তন বিধায়কও। তাঁদের তলব করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। সূত্রের দাবি, একজনকে গত ২ মার্চই তলব করা হয়েছিল। তবে তিনি হাজিরা দেননি। এরপর ফের তলবি নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর এই বিধায়ক ২০১৭ সালে গরুপাচার কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করছেন এনামুল, এমনও অভিযোগ তোলেন। যদিও সেই সময় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এনামুলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জাকির হোসেন বলেন, “আগামী সপ্তাহে ইডি ডেকেছে। তবে আমি অসুস্থ, আমার কোমর ভাঙা। চলাফেরা করতে পারছি না। দু’ মাস বেডরেস্ট করতে বলেছেন চিকিৎসক। আমার এই মুহূর্তে যাওয়া সম্ভব না।”

এতদিন অভিযুক্ত এনামুল হকের পাচারসিন্ডিকেট কেন্দ্রিক তদন্ত মূলত সীমাবদ্ধ ছিল বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলায়। এবার উত্তর ২৪ পরগনাতেও নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থানায় রাজ্য পুলিশের করা একটি এফআইআরকে নিজেদের তদন্তভুক্ত করতে চলেছে ইডি।

অভিযোগ, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ৮ অগস্ট মাটিয়া থানা এলাকায় পাচারের জন্য আনা গরুভর্তি চারটি ট্রাক পাকড়াও করে পুলিশ। পরে সেই মামলার তদন্তভার নেয় রাজ্য পুলিশের সিআইডি। সেই মামলায় বসিরহাটের আব্দুল বারিক বিশ্বাসকে গ্রেফতারও করে সিআইডি। এখন জামিন পেয়েছেন বারিক। সূত্রের খবর, এনামুলের তদন্তে বারিক-যোগ আগেই পেয়েছিল ইডি। সেই সূত্র ধরে বারিকের বয়ান রেকর্ড করে তারা।

বারিকের বয়ানের ভিত্তিতে উত্তর ২৪ পরগনায় বেশ কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালীর নামও উঠে এসেছে, যাঁরা সরাসরি গরু পাচারের টাকায় লাভবান হয়েছেন, এমনটাই দাবি ইডির। সেই সূত্রেই মাটিয়া থানায় করা গরুপাচারের মামলাটি নিজেদের তদন্তভুক্ত করছে ইডি। বারিক বিশ্বাসকে এর আগেও গ্রেফতার করেছিল ইডি। সোনা পাচার মামলায় ডিআরআই প্রথম তাঁকে গ্রেফতার করে।

পরে ইডি মামলা করে। সেই সময় বারিকের গরুপাচার সিন্ডিকেটে যোগসূত্রও পান গোয়েন্দারা। এরমধ্যে কয়লা পাচার নিয়ে সিআইডির করা মামলায় বারিককে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, এনামুলের মতোই গবাদি পশু পাচার সিন্ডিকেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বারিকের। বারিকের বয়ান থেকে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া গেছে দাবি ইডি সূত্রের।

Next Article