Breast Cancer: স্তন ক্যানসার পরীক্ষায় এবার বাংলার গ্রামে গ্রামে যাবে বিশেষ গাড়ি, বড় উদ্যোগ সিএনসিআইয়ের

CNCI: বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বের ২৩ লক্ষ মহিলা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৬ লক্ষ ৮৫ হাজার মহিলা।

Breast Cancer: স্তন ক্যানসার পরীক্ষায় এবার বাংলার গ্রামে গ্রামে যাবে বিশেষ গাড়ি, বড় উদ্যোগ সিএনসিআইয়ের
মোবাইল ম্যামোগ্রাফি ইউনিট।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2023 | 3:53 PM

কলকাতা: রাজ্যে ক্যানসার চিকিৎসার পরিকাঠামো নির্মাণে আরও একধাপ এগোল রাজারহাটের সিএনসিআই (CNCI)। বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার রয়েছে। সারা বিশ্বের মতো এ দেশে, এ রাজ্যেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্তন ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। রোগের পায়ে বেড়ি পরাতে প্রয়োজন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা। সেই লক্ষ্যে বিশ্ব ক্যানসার দিবসে (৪ ফেব্রুয়ারি) ভ্রাম্যমাণ ম্যামোগ্রাফি ইউনিট চালু করল সিএনসিআই। নিঃসন্দেহে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নেবে ক্যানসার আক্রান্তদের ক্ষেত্রে। এই ইউনিটের সাহায্যে স্তন ক্যানসারের পরীক্ষার জন্য গ্রামের মানুষকে সিএনসিআই পর্যন্ত আসতে হবে না। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকরাই পৌঁছে যাবেন রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায়। এক ধরনের বিশেষ বাসের মধ্যে হবে মহিলাদের স্তন ক্যানসারের রোগ নির্ণয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বের ২৩ লক্ষ মহিলা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৬ লক্ষ ৮৫ হাজার মহিলা। ক্যান্সারের সংখ্যাতত্ত্ববিদ শ্যামসুন্দর মণ্ডলের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলায় নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৬৬৩ জন। এর মধ্যে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত ৭৯৫১ জন। যা রাজ্যের মোট ক্যানসারের ১৮.৪ শতাংশ।

কীভাবে কাজ করবে এই ম্যামোগ্রাফি মেশিন? সিএনসিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর সুপর্ণা মজুমদার বলেন, “আমরা রোগীদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছতেই এই ভ্রাম্যমাণ ম্যামোগ্রাফি মেশিন আনা হয়েছে। একটি মূলত একটি এক্সরে মেশিন। যা দিয়ে আমরা স্তনের পরীক্ষা করি। কোনও অস্বাভাবিকতা থাকলে তা ধরা পড়বে। এই রোগের ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে, তত ভাল চিকিৎসা হবে।”

সিএনসিআইয়ের মেডিক্যাল ডিরেক্টর শঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, “চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউট ভারতবর্ষের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালে নিউটাউনে আমরা নতুন ক্যাম্পাস পাই। ৪৬০ বেডের ব্যবস্থা আছে এখানে। মানুষের কাছে পৌঁছতে আমরা নানা সময় নানা কার্যক্রম নিয়েছি। মানুষের দুয়ারে পৌঁছনোর চেষ্টা করছি এবার। বিভিন্ন টেস্ট, স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম, প্রিভেনটিভ প্রোগ্রাম নিয়ে আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে যাই। এবার এমএমইউ ভ্যান গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাবে।”