কলকাতা: এত নিয়োগ নিয়ে মামলা চলছে, তাহলে কোর্টও নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখুক, মন্তব্য কুণাল ঘোষের। বৃহস্পতিবারই কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সিট গঠন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। রাজ্যের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও আইপিএস দময়ন্তী সেনকে নিয়ে এই সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এই সিট গঠন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, আদালতের রায়ে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে তাঁর। আদালত যাঁদের নিয়ে সিট গঠন করেছে, তাঁদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্নের অবকাশ নেই। তবে এরপরও কুণালের মনে রয়েছে ‘কিন্তু’।
এদিন সরাসরি আদালতকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন কুণাল ঘোষ। বলেন, “আদালতের নিয়োগের মানে কী? আমি টিভি দেখব, টিভিতে এই সরকারকে গালাগাল করছে, তাই নেব, এটা তো কোর্টের নিয়োগের পদ্ধতি হতে পারে না। এত নিয়োগ নিয়ে মামলা চলছে, তাহলে কোর্টও নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখুক। কোর্টও বলুক, জানতে চাক, কতজন আগ্রহী, কতজন যোগ্য দক্ষ আইপিএস রয়েছেন। অন্য জায়গায় সমস্ত দক্ষ প্রার্থীদের জন্য মাপকাঠি ঠিক হবে। আর কোর্ট নিযুক্ত সিটে কোর্ট যাকে ইচ্ছা বসিয়ে দেবে এটা কীভাবে হতে পারে। এটা হতে পারে না।”
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “আদালতের কাছে যদি টিভির প্যানেলে মুখ দেখানো ও সরকারের বিরোধিতা করাটা বিচার্য বিষয় বলে গন্য হয় তাহলে খুবই দুঃখিত। রাজ্যের যদি প্রাক্তন আইপিএসদেরই খোঁজ করতে হবে, তাহলে রাজ্যে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস কি কম পড়িয়াছিল? অনেক বড় বড় মামলা, অনেক বড় বড় রহস্যের সমাধান করা বহু দক্ষ আইপিএস রয়েছেন। যাঁদের নেওয়া হয়েছে আমি কাউকে ছোট করছি না। দময়ন্তী সেনকে নিয়ে নিশ্চিতভাবে কোনও প্রশ্ন নেই। উপেন বিশ্বাস তাঁকে আমি আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধা করি। যদিও তিনি একটা রাজনৈতিক দলে যোগদান করেছিলেন। পঙ্কজবাবুকেও আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু প্রত্যেকটি টিভির ডিবেটে যিনি ঘোষিতভাবে রাজ্য সরকারের, বর্তমান পুলিশের সমালোচনা করেন।”