কলকাতা: নিয়োগ ‘কেলেঙ্কারি’র তদন্তে এবার কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই (CBI)। কুন্তলকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালত থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টও জারি করা হয়েছে। আগামী সোমবার আদালতে পেশ করা হবে কুন্তল ঘোষকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই কুন্তলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এবার সিবিআই তাঁকে হেফাজতে চায়। ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের এই যুবনেতা। শুক্রবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তা মঞ্জুরও করা হয়েছে। প্রোডাকশন ওয়ারেন্টও জারি হয়ে গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এর ভিত্তিতে আগামী সোমবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে কুন্তল ঘোষকে।
সেখান থেকেই সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করবে। তদন্তকারীরা চাইছেন, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে কীভাবে কুন্তলের নাম জড়াল তা উদ্ধার করতে। কারণ, ইডি আর্থিক বিষয়গুলিই খতিয়ে দেখছে। কিন্তু এর বাইরে আর কোন প্রভাব কাজ করেছে, তা জানতে চায় সিবিআই।
অন্যদিকে শুক্রবার ফের নগর দায়রা আদালতে ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা হয় কুন্তল ঘোষকে। আদালতে বিস্ফোরক দাবি করে ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে বলা হয়, কুন্তল ঘোষের দু’টো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬.৫ কোটি টাকা জমা হয়। সেই টাকা পরে অন্য অ্যাকাউন্টে যায়। সেই অ্যাকাউন্টের খোঁজ করা দরকার বলে জানায় ইডি।
একইসঙ্গে তারা জানায়, কুন্তল তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। একইসঙ্গে তারা জানায়, নবম এবং দশমে চাকরির জন্য ২০ লক্ষ টাকা করে নেন কুন্তল ঘোষ। এরকম ৬ জন প্রার্থীকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে বলেও দাবি করে ইডি। যদিও পাল্টা কুন্তল ঘোষের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, একের পর এক নতুন গল্প সাজিয়ে চলেছে ইডি। এদিন নগর দায়রা আদালতে ঢোকার মুখে কুন্তল ঘোষ বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি, ১০০টি গাড়ি কথা বলা হচ্ছে। এসব ভিত্তিহীন। এদিন আবারও গোপাল দলপতির নাম করেন কুন্তল। এদিন কুন্তলের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়। ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকতে হবে কুন্তলকে।