কলকাতা: শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করল ইডি (ED)। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিনই তাঁকে আদালতে তোলা হবে। সোমবার দুপুরের পর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত গভীর হলেও সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোননি মানিক। ইডি সূত্রে খবর, রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরই মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার হন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত মাসে ইডি যে চার্জশিট পেশ করে তাতে নাম ছিল মানিক ভট্টাচার্যের। এই ঘটনায় মানিকের ভূমিকারও উল্লেখ ছিল সেখানে। মানিকের বিরুদ্ধে ইডির মূল অভিযোগ ছিল, টেটে সাদা খাতা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন অযোগ্যরা। সব জেনেই মানিক ভট্টাচার্য তাঁদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানিকের কথোপকথনের প্রসঙ্গও ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় বলে সূত্রের দাবি।
তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির পাশাপাশি নদিয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কও। অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই নিয়ে শাসকদলের দ্বিতীয় বিধায়কের গ্রেফতারি। এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিঃসন্দেহে এই গ্রেফতারি অস্বস্তি বাড়াল শাসকদলের। যদিও এ নিয়ে এখনও শাসকদলের কারও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিনই আদালতে তোলা হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। এখনও অবধি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাউকে গ্রেফতারের পরই নিয়ম অনুযায়ী ধৃতের শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছে। মানিকের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হবে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট যেদিন মানিক ভট্টাচার্যকে রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে যেতে বলে, সেদিনই মানিক ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জানান। মূলত সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন তিনি।
৩০ সেপ্টেম্বর যে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাতে মানিকের রক্ষাকবচের মেয়াদ বেড়েছিল। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সেই রক্ষাকবচ ছিল। তবে সিবিআইয়ের তদন্তের ক্ষেত্রে মানিক রক্ষাকবচ এনেছিলেন, ইডির ক্ষেত্রে নয়। যার জেরে অনায়াসেই ইডি তাঁকে গ্রেফতার করতে পেরেছে।