কলকাতা: টানা ২ মাস কলকাতার বাইরে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার থেকে বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচি ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যার দায়িত্বে। সোমবারই তিনি কোচবিহারে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। অভিষেকের এই ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিকে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ তুলেছেন, ১০০ কোটি টাকা খরচ করে এই কর্মসূচি করা হচ্ছে। পাল্টা কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, সিপিএমে ভেসে থাকতে চেয়ে সুজন চক্রবর্তী এ ধরনের কথা বলেন। জেলায় জেলায় ঘুরে গোপন ব্যালটে পঞ্চায়েতের প্রার্থী মনোনয়ন করবে তৃণমূল। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি গ্রাম বাংলার মতামত জানতে। আমার বুথে কে প্রার্থী হবে, আমি নিজে সেটা ঠিক করব। কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়। কোনও বদ্ধঘরেও সে সিদ্ধান্ত হবে না। ভারতবর্ষে প্রথমবার সেই অধিকার বাংলার মানুষকে আমরা দিতে চাই। আগে ছিল নিজের ভোট নিজে দিন। এখন নিজের প্রার্থী নিজে বাছুন।”
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “অন্তত ১০০ কোটি টাকার কর্পোরেট প্রজেক্ট। হেলিকপ্টার, সাজানো গাড়ি, বিজেপির রথযাত্রার মতো গাড়ি, তার সঙ্গে শতাধিক কর্পোরেট তাবু। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, বিশাল মাঠ পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা। এই ১০০ কোটি টাকা কে দিচ্ছে? কার পয়সা? পুলিশি ব্যবস্থার জন্য যে খরচ, সরকারি খরচ। এই বাহানা দাপট দেখানোর জন্য, দখলদারির জন্য।”
যদিও কুণাল ঘোষের পাল্টা তোপ, “অভিষেক সব জেলায় যাচ্ছে বলে আপনাদের বুকে কাঁপন ধরছে। একে তো শূন্যের পার্টি যাচ্ছে মহাশূন্যের দিকে। লড়াই তো সুজনবাবু ভার্সেস সেলিম। সুজনদা বিক্ষুব্ধ নেতা। উনি সম্পাদক হতে চেয়েছিলেন। মহম্মদ সেলিম হয়ে গিয়েছেন। তাই তিনি কুৎসা করে সিপিএমে ভেসে থাকতে চান।” তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, “আগে রাজ রাজারা শিকারে যেতেন। বেড়াতে যেতেন লোক লস্কর নিয়ে। তেমনই দেখাচ্ছেন ওনারা, ওনাদের তামঝাম কত।”