উত্তর থেকে দক্ষিণ, গোটা রাজ্যেই অল্পবিস্তর বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতায় মাঝে মধ্যে রোদ্দুর উঠেছে, কখনও আবার মেঘ জমেছে। বিকেলের দিকে আকাশ কালো করে বৃষ্টিও হয়েছে শহর ও শহরতলিতে। নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে এই বৃষ্টি বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তবে নিম্নচাপ অক্ষরেখা সরে গেলে, ক্রমশ কমবে বৃষ্টি।
বৃষ্টি থেমে যাওয়ার দুদিন পরেও ১২৩ নাম্বার ওয়ার্ড ভুবনমোহন রায় রোডের গোটা এলাকা জলমগ্ন কোথাও হাঁটু সমান জল কোথাও আবার গোড়ালি সমান জল, সাধারণ মানুষের বাড়ির ভেতরেও ঢুকেছে জল। সাধারণ মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছে যে তারা কোথায় রান্না করবে কোথায় থাকবে সেটাই তারা বুঝতে পারছেনা।
একদিকে শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ও বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে, অন্যদিকে, পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে শনিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। শুক্রবার বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তিন থেকে চার জেলায় জারি করা হয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। তার মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা।
উত্তরে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের দুই জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ ভূমিধসের সম্ভাবনা থাকছে। তিস্তা, তোর্সা ও জলঢাকা নদীতে জলস্তর বাড়তে পারে বলেও মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। প্রবল বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি পথে কমবে দৃশ্যমানতা। সবজি চাষের ক্ষতিও হতে পারে।
উত্তরের কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি আরও বাড়বে বলে জানা গিয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল শহরবাসীর। তবে আপাতত বজায় থাকছে স্বস্তি। হাওয়া অফিসের রিপোর্ট বলছে, কলকাতার আকাশ থাকবে মেঘলা। বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। তবে শনিবার থেকে ক্রমশ বৃষ্টি কমবে, বাড়বে তাপমাত্রা। জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, পূর্ব-পশ্চিম নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে রাজস্থান থেকে। তার প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে এ রাজ্যে। সেই অক্ষরেখা বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমশ উপরের দিকে অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে এগোচ্ছে। শনিবার থেকে সেই রেখা সরে গেলে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে।