কলকাতা: বিধানসভার পিএসির চেয়ারম্যান ছিলেন মুকুল রায়। যা নিয়ে গত এক বছর ধরে দড়ি টানাটানি চলেছে বিধানসভা ভবনে। সেখানে অধ্যক্ষ পর্যন্ত বলেছেন, মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক। অথচ সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে এসে মুকুল রায়কে স্পষ্ট বলতে শোনা গেল, ” না না আমি বিজেপির এমএলএও নই, বিজেপির হয়ে ভোট দিতেও আসিনি। আমি তৃণমূলের প্রার্থীকেই ভোট দিলাম।” এতদিন ধরে তৃণমূল মুকুল রায়কে বিজেপি নেতা বলেই দাবি করে এসেছে। রাজনীতির কারবারিরা বলেন, দলত্যাগ বিরোধী আইনকে ঠেকাতেই নাকি এ কথা বলে থাকে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এদিন একেবারে ‘লুজ বল’ খেলে দিলেন মুকুল। অথচ এদিন সেই বিধানসভাতে দাঁড়িয়েই অন্য কথা শোনা গেল কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের মুখে।
এদিন মুকুল রায়কে ‘ক্রস ভোট’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওসব ক্রস ভোটিং ফোটিং জানি না। মমতার প্রার্থীই জিতবেন। আমি তৃণমূলকেই ভোট দিলাম।” একইসঙ্গে মুকুল রায় জানান, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। মুকুল রায়ের এই বক্তব্যকে ইতিমধ্যেই হাতিয়ার করে ফেলেছে বিজেপি। মুকুল রায়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, এটা অধ্যক্ষ আর তৃণমূলের নেত্রী বলতে পারবেন। শুভেন্দু বলেন, “আমরা ওনার (মুকুল রায়) বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার কথা বলেছি। উনি এখন নিজেই বলছেন, তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। তবে আমার সঙ্গে মুকুল রায়ের কোনও কথা হয়নি।”
মুকুল রায়কে নিয়ে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে তৃণমূল। ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল ভবনে গিয়ে ‘ঘর ওয়াপসি’ করেন মুকুল। অথচ তৃণমূল বলে এসেছে মুকুল রায় বিজেপিতেই আছেন। সেই যুক্তিকে সামনে রেখেই গত এক বছর ধরে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হয়ে থেকেছেন মুকুল রায়। এদিকে বিজেপি কিছুতেই তাঁর বিধায়ক পদ মানতে নারাজ। এ নিয়ে আদালত পর্যন্ত গিয়েছে। এদিন মুকুলের এই বক্তব্যে তারা কিছুটা অক্সিজেনই পেল।