কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে হারানোই একমাত্র লক্ষ্য বিজেপি-র। সূত্রের খবর, অধিকাংশ আসনেই দল প্রার্থী দেবে। জোট বেঁধে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ পৌঁছেছে নীচুস্তরে। প্রয়োজনে নীচুতলায় সমঝোতা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে বিজেপি প্রার্থী থাকবে না, সেখানে যাঁদের জেতার সম্ভাবনা তাঁদেরই সমর্থন। অথবা নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন। সংখ্যালঘু এলাকায় বেশি সংখ্যক প্রার্থী জোগাড় করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি প্রচারের ওপর জোর দিয়েছেন রাজ্য নেতারা। মূল প্রচার, মমতা সরকারের দুর্নীতি ও মোদী সরকারের সাফল্য তুলে ধরা।
সূত্রের খবর, বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে,
এক. যেখানে তাঁদের প্রার্থী থাকবে না , সেখানে যাঁরা জিতবেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
দুই. অথবা নির্দলকে সমর্থন করতে হবে।
তিন. সংখ্যালঘু এলাকায় যতটা সম্ভব প্রার্থী জোগাড় করতে হবে।
চার. দেওয়াল লিখন , মিটিং মিছিল , ছোট সভা , প্রচার চলবে।
প্রচার হিসাবে শাসকদলের দুর্নীতিকেই হাতিয়ার করতে চায় বিজেপি। পাশাপাশি মোদী সরকারে সাফল্য , রাজ্যে গণতন্ত্র ধ্বংস-এই ইস্যুকে প্রচারের আলোয় আনতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পদ্মফুল প্রতীক বেশি করে ঘরে ঘরে প্রচার করতে হবে। কিন্তু বাড়ি বসে নয়, জনসংযোগ বৃদ্ধিতে রাস্তায় নামতে হবে, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মীদের।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস-সহ সহযোগী সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরই শুক্রবার সকালে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর, আধ ঘণ্টা দু’জনের মধ্যে কথা হয়। নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি নিয়েও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথা হয়।