Sehgal Hossain: এবার কি ইডির হাত ধরে দিল্লিতে অনুব্রত-রক্ষী সায়গল? আজই কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি

Cow Smuggling: এনামুল হক দিল্লির জেলে। ইডির হাতেই গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গেলে এনামুলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সম্ভাবনাও প্রবল।

Sehgal Hossain: এবার কি ইডির হাত ধরে দিল্লিতে অনুব্রত-রক্ষী সায়গল? আজই কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি
সায়গল হোসেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2022 | 7:25 AM

কলকাতা: সায়গল হোসেনকে হেফাজতে পেতে মরিয়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে দিল্লি নিয়ে যেতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। মঙ্গলবারই এই মামলার শুনানি রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চে এই শুনানি হবে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলা শুনবেন আজ। সকাল ১১টা নাগাদ শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

গরু পাচার মামলায় এই সায়গল হোসেনকেই তুরুপের তাস করতে চাইছে ইডি। এই মামলা ঘিরে ইডির কর্মকাণ্ড অন্তত সে কথাই বলছে বলে মত আইনজ্ঞদের একাংশের। গরু পাচার মামলায় সায়গলকে নাগালে পেতে তাই মরিয়া তারা। কলকাতায় নয়, সোজা দিল্লি নিয়ে গিয়ে সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে আদালত থেকে এখনও সে নির্দেশ আসেনি। তাই আপাতত অপেক্ষাই করতে হচ্ছে তাদের। মঙ্গলবার মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে ইডি।

বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন সায়গল। ইতিমধ্যেই সায়গল হোসেনকে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করিয়ে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখিয়েছে ইডি। কিন্তু আইনি জটিলতায় হেফাজতে নিতে পারেনি তাঁকে। নিম্ন আদালত ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন গ্রহণ করেনি। ফলে থমকে গিয়েছে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। সে কারণেই তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ইডি।

রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছে, সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চাওয়া ঘুরপথে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উপরই চাপ বাড়ানোর কৌশল হতে পারে। সূত্রের খবর, গরু পাচার চক্রের মাথা হিসাবে অভিযুক্ত এনামুল হক দিল্লির জেলে বন্দি। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে এনামুলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। সূত্রের খবর, কান টেনে মাথা ধরতে চাইছে ইডি। এনামুল ও সায়গলকে মুখোমুখি বসালে বহু তথ্যই উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই সায়গলকে আসানসোল জেলের মধ্যেই গ্রেফতার করে ইডি। সায়গলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করে ট্রানজিট রিমান্ডের আর্জি জানায় ইডি। যদিও তা প্রথমে শোনেননি পশ্চিম বর্ধমান জেলা আদালতের বিচারক। সেদিন সন্ধ্যায় ফের আসানসোল ডিস্ট্রিক্ট ভ্যাকেশনাল কোর্ট বা আসানসোল জেলা অবসরকালীন বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমান জেলা আদালতের বিচারক রত্না রায় লিখিতভাবে জানান, সংশ্লিষ্ট মামলার কেস রেকর্ড দেখার পরিসর বা এক্তিয়ার নেই অবসরকালীন আদালতের। মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। এরপরই হাইকোর্টে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি।