AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Swastha Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালে করা যাবে না একাধিক চিকিৎসা, তালিকা দিল স্বাস্থ্য ভবন

Swastha Sathi: শুধু হার্নিয়া, হাইড্রোসিল, দাঁতের চিকিৎসা নয়। অ্যাপেন্ডিক্সের চিকিৎসা করানোর নামে পেটের অন্য কোন‌ও সার্জারির উপরেও নিয়ন্ত্রণ জারি করে অ্যাডভাইজরি দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।

Swastha Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালে করা যাবে না একাধিক চিকিৎসা, তালিকা দিল স্বাস্থ্য ভবন
স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে নয়া নির্দেশিকা। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2022 | 11:36 PM
Share

কলকাতা: বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হার্নিয়া, হাইড্রোসিল, দাঁতের চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণ জারি করল স্বাস্থ্য ভবন। সব ধরনের হাইড্রোসিল অপারেশন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সরকারি হাসপাতালেই করতে হবে। অসুখ জটিল না হলে স্বাস্থ্যসাথীতে হার্নিয়ার অস্ত্রোপচারেও অগ্রাধিকার সরকারি হাসপাতাল। ক্যান্সার সার্জারি, পথ দুর্ঘটনার শিকার রোগীদের প্রস্থেসিস ছাড়া দাঁতের যাবতীয় চিকিৎসার ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড একমাত্র সরকারি হাসপাতালেই সচল, এই মর্মে অ্যাডভাইজরি জারি করল স্বাস্থ্য ভবন।

বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি অ্যাডভাইজরিই জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। এক‌ই সঙ্গে সেখানে বলা হয়েছে, অসুখ জটিল না হলে হার্নিয়া, দাঁতের চিকিৎসাও করাতে হবে সরকারি হাসপাতালেই। ব্যতিক্রম শুধু অবস্ট্রাকটেড হার্নিয়া, ইনকারসেটেড হার্নিয়া, স্ট্রাঙ্গুলেটেড হার্নিয়ার ক্ষেত্রে। এক‌ইরকম ভাবে পথ দুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তির প্রস্থেসিস, ম্যাক্সিওফেসিয়াল সার্জারি, মুখের ক্যান্সার সার্জারির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে বেসরকারি হাসপাতাল যাওয়ার পথ খোলা থাকছে। তবে তার জন্য পেশ করতে হবে উপযুক্ত নথি।

শুধু হার্নিয়া, হাইড্রোসিল, দাঁতের চিকিৎসা নয়। অ্যাপেন্ডিক্সের চিকিৎসা করানোর নামে পেটের অন্য কোন‌ও সার্জারির উপরেও নিয়ন্ত্রণ জারি করে অ্যাডভাইজরি দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। বিরোধী চিকিৎসক সংগঠনগুলির বক্তব্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে সবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন ভাঁড়ারে টান পড়ায় ঘুরপথে প্রকল্পের খরচে রাশ টানা হচ্ছে।

বুধবার‌ই সব দফতরের খরচে রাশ‌ টানার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর পরদিন‌ই জারি হল এই দুই নির্দেশিকা। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, ২ কোটি ৩০ লক্ষ পরিবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত হ‌ওয়ার পরে বছরে খরচের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬০০-২৭০০ কোটি টাকা। হার্নিয়া-হাইড্রোসিলে সরকারের বছরে খরচ হয় ৭০-৮০ কোটি টাকা‌‌। যদিও অ্যাডভাইজরির বক্তব্য, সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পরিকাঠামো এখন উন্নত। তাই হার্নিয়া-হাইড্রোসিলের মতো ছোটখাটো অস্ত্রোপচার সরকারি পরিকাঠামোতেই সম্ভব।

স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, এই দুই অ্যাডভাইজরির সঙ্গে খরচ কমানোর কোন‌ও যোগ নেই। বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে যে হারে হার্নিয়া-হাইড্রোসিল অপারেশনের জন্য বিল করছে, তা মেডিক্যাল অডিট করে ধরা সম্ভব নয়। তাই সরকারি পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটিয়ে এই অ্যাডভাইজরি জারি করা হয়েছে।