Trinamool Congress: ‘মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে দাদুর নাম হবে’, দল নাম ঘোষণা করতেই বলছেন ঠাকুরবাড়ির মধুপর্ণা
Trinamool Congress: কয়েকদিন আগেই ঠাকুরবাড়ির অন্দরে বড় মায়ের ঘরের দখল নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। এখন ভিতরের সমীকরণ কেমন রয়েছে? মধুপর্ণার উত্তর, “ওটা পরিবারের সমস্যা ছিল। রাজনীতির বিষয় ছিল না। কিন্তু, শান্তনু ঠাকুর বিজেপির ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের বের করে দিয়েছে।”
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে বড় জয়ের পর এবার উপনির্বাচনে বাজিমাত করতে মুখিয়ে ঘাসফুল শিবির। এদিন চার আসনে প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানেই দেখা যাচ্ছে বাগদা থেকে টিকিট পেয়েছেন। কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর ও মমতা বালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুরকে। তরুণ এই মুখকে নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে ঠাকুরবাড়ির দ্বন্দ্বের আবহে একাধিকবার সামনে এসেছে মধুপর্ণার নাম। রাজনৈতিক মহল বলছে, তিনি যদি জিততে পারেন তিনিই হয়তো হবেন বিধানসভার কনিষ্ঠতম সদস্য। কিন্তু, মধুপর্ণার রাজনীতিতে হাতখড়ি কার হাত ধরে?
এ প্রসঙ্গে টিভি ৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মধুুপর্ণা বলেন, “দাদুর আমল থেকে এটা চলে আসছে। রাজনীতি আমাদের ধমনীতে। আমার মা একজন রাজ্যসভার সাংসদ। মা আমার শক্তি। মাকে দেখেই রাজনীতিতে নামা।” তবে রাজনীতির আঙিনায় নতুন হলেও জয়ের ব্যাপারে এখন থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে মধুপর্ণাকে। বিরোধীদের কীভাবে প্রতিহত করবেন সেই টিপস দিচ্ছেন খোদ মা। মধুপর্ণা স্পষ্টই বলছেন, হ্যাঁ, মায়ের পরামর্শ পেয়েছি। আসুক আক্রমণ। রাজনীতিতে যখন নেমেছি তখন লড়াই তো করে যেতেই হবে। লড়াই চলতে থাকবে। মতুয়াদের লড়াই এটা।
এদিকে কয়েকদিন আগেই ঠাকুরবাড়ির অন্দরে বড় মায়ের ঘরের দখল নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। এখন ভিতরের সমীকরণ কেমন রয়েছে? মধুপর্ণার উত্তর, “ওটা পরিবারের সমস্যা ছিল। রাজনীতির বিষয় ছিল না। কিন্তু, শান্তনু ঠাকুর বিজেপির ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের বের করে দিয়েছে।” একইসঙ্গে সিএএ নিয়েও সুর চড়াতে দেখা যায় তাঁকে। বলেন, “সিএএ নিয়ে ওরা ভুল বোঝাচ্ছে। আমরা সবাই চাই আমাদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়া হোক।” কিন্তু, ভোটে জিতে কী করতে চান তিনি? উত্তর দিতে গিয়ে ফের একবার দাদুকে স্মরণ করতে দেখা গেল মধুপর্ণাকে।
সাফ বললেন, “আমি মতুয়াদের জন্য, বাগদার মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। ওদের জন্য কিছু করতে পারলে ঠাকুরবাড়ির নাম হবে। আমার দাদুর নাম হবে। সে কারণেই ওদের জন্য কিছু করতে চাই। তাহলেই আমাদের বাড়ির নাম হবে।”