Dengue: আদৌ কি মশা মারার তেল কাজ করছে? ডেঙ্গির মিউটেশন পক্ষে সওয়াল বিশেষজ্ঞদের
Dengue: বঙ্গ চিকিৎসকদের সেই মতকে সমর্থন জানালেন দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক যুগল কিশোর। তাঁর মতে, অস্তিত্ব বাঁচাতে কৌশল বদলাচ্ছে ডেঙ্গির মশা এডিস ইজিপ্টাইও।
কলকাতা: রাজ্যে প্রায় নিত্য দিনই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর হচ্ছে। জেলা থেকে কলকাতায় নিত্য বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এক সপ্তাহে নতুন করে আরও অন্তত ছয় হাজার ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলল রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে এ রাজ্যে ডেঙ্গির ভাইরাসের মিউটেশন হয়েছে কি না তা জানতে গবেষণা শুরুর প্রশ্নে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বঙ্গ চিকিৎসকদের সেই মতকে সমর্থন জানালেন দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক যুগল কিশোর। তাঁর মতে, অস্তিত্ব বাঁচাতে কৌশল বদলাচ্ছে ডেঙ্গির মশা এডিস ইজিপ্টাইও। তাই ডেঙ্গির চার ধরনের স্ট্রেনে কোনও পরিবর্তন এসেছে কি না তা বুঝতে প্রয়োজন জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের। একই সঙ্গে মশার লার্ভা নিধনে ব্যবহৃত কেমিক্যাল অয়েলে আদৌ কোনও কাজ হচ্ছে কি না তাও দেখা জরুরি। বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, তথ্য গোপন করলে আখেরে বিপদই বাড়বে। ডেঙ্গির ভরা মরসুমে স্বাস্থ্য ভবনের জন্য বিশেষ এই ‘প্রেসক্রিপশন’ ন্যাশনাল হেলথ সিস্টেম রিসোর্স সেন্টারের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অতুল কোটালের।
পরিসংখ্যান বলছে, শুধু সরকারি ক্ষেত্রেই নতুন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯২৮ জন। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পঁয়তাল্লিশ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে নদিয়াকে টপকে গিয়েছে মুর্শিদাবাদ। সাত দিনে দশ হাজারের কাছাকাছি আক্রান্তের সংখ্যা শুধু উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়।
পরিসংখ্যান বলছে, সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্র ৩৩,৭৮৬ ডেঙ্গি আক্রান্ত। বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ৭৫১৯। জেলার থেকে রেড জোন হিসাবে গণ্য করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। তার মধ্যে বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, বরানগর, বারাসত, কামারহাটি পুরসভার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। বনগাঁ, হাবড়া, আমডাঙা, দেগঙ্গার অবস্থাও খারাপ। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলি, মালদহ, ঝাড়গ্রামেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি তৎপর প্রশাসন।