Rajeev Kumar: রাজীব কুমারের জন্য ধরনায় বসেছিলেন খোদ মমতা, ভোটের আগে সরানো হল সেই দুঁদে অফিসারকে

Rajeev Kumar: খাদিম কর্তা অপহরণ, কলকাতায় আমেরিকান সেন্টার হামলার মতো ঘটনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন রাজীব কুমার। শোনা যায়, একসময় বাম সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। পরে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভরসার পাত্র হয়ে ওঠেন রাজীব কুমার।

Rajeev Kumar: রাজীব কুমারের জন্য ধরনায় বসেছিলেন খোদ মমতা, ভোটের আগে সরানো হল সেই দুঁদে অফিসারকে
আইপিএস রাজীব কুমারImage Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2024 | 3:47 PM

কলকাতা: ২০১৯ সালে এক সন্ধ্য়ায় আচমকা আইপিএস রাজীব কুমারের বাসভবনে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা। তিনি তখন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। এই খবর কানে যেতেই ফুঁসে উঠেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোজা চলে গিয়েছিলেন ধর্মতলায়। কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বসে পড়েছিলেন ধরনায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, রাজীব কুমার দেশের অন্যতম সেরা অফিসার, তাঁর বাড়িতে গিয়ে হেনস্থা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা যায়, সারদা-মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল সিবিআই। এভাবেই বিতর্কে জড়িয়ে যান রাজীব কুমার। এবার লোকসভা ভোটের আগে, সেই রাজীব কুমারকে সরানো হল রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে।

উত্তর প্রদেশের চন্দৌসি-র বাসিন্দা রাজীব কুমার। ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার তিনি। কেরিয়ারের পরের দিকে বিতর্কে নাম জড়ালেও শুরুতে দক্ষ অফিসার হিসেবে উচ্চ প্রশংসিত হন তিনি। একসময় এসটিএফ-এর শীর্ষ পদে ছিলেন তিনি। পরে বিধান নগরের পুলিশ কমিশনার পদেও দায়িত্ব সামলান। পরে ২০১৬ সালে কলকাতার পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। শুধুমাত্র রাজ্যে নয়, তাঁর নেটওয়ার্ক ছিল দেশের সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। নখদর্পণে ছিল বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তও।

খাদিম কর্তা অপহরণ, কলকাতায় আমেরিকান সেন্টার হামলার মতো ঘটনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন রাজীব কুমার। শোনা যায়, একসময় বাম সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। পরে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভরসার পাত্র হয়ে ওঠেন রাজীব কুমার। মমতার আমলে মাওবাদী দমনে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় প্রথম গ্রেফতারি হয়েছিল রাজীব কুমারের হাত ধরে।

গত বছরই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে দায়িত্ব পান রাজীব কুমার। আর এবার ভোটের আগে সেই দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরাল নির্বাচন কমিশন।