সমাজে নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে অভিনব উদ্যোগ ওম্যান টাইমসের
প্রত্যেক মা, মেয়ে, বোন সর্বপরি প্রত্যেক নারীকে স্যলুট জানাতে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানের। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং প্রিয়ঙ্কা সেনগুপ্ত। সিনেমা, সমাজে তাঁদের অবদানের জন্য অস্তিত্ব পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাঁদের।

কথায় বলে একজন সফল পুরুষের পিছনে একজন নারীর অবদান থাকে। সেই কথা যেন পদে পদে টেরও পাই আমরা। নারী কখনও মা রূপে, কখনও জীবনসঙ্গিনী রূপে, কখনও বন্ধু রূপে আবার কখনও সন্তান রূপে আমাদের এগিয়ে চলার পাথেয় হয়েছে। তাই সমাজে নারীদের অবদানকে আরও বেশি করে তুলে ধরতে তাঁদের অস্তিত্বের গুরুত্বকে ফুটিয়ে তুলতেই ওম্যান টাইমস আয়োজন করে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। ‘অস্তিত্ব: এক রূপ কি পেহচান’। কলকাতার একটি বেসরকারি হোটেলে মমতা সুমিত বিনানি ফাউন্ডেশন, সিকে বিড়লা হাসপাতাল সিএমআরআই এবং সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানের।
প্রত্যেক মা, মেয়ে, বোন সর্বপরি প্রত্যেক নারীকে স্যলুট জানাতে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানের। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং প্রিয়ঙ্কা সেনগুপ্ত। সিনেমা, সমাজে তাঁদের অবদানের জন্য অস্তিত্ব পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাঁদের।
এই দিন নারীর ক্ষমতায়ন এবং নিজের শরীর সমন্ধে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য আয়োজন করা হয় তিনটি বিশেষ সেশন। বিশেষজ্ঞরা শরীরের পুষ্টি, ডিমেনশিয়া এবং স্ত্রীরোগবিদ্যা সম্পর্কে নিজেদের বক্তব্য রাখেন।
ওম্যান টাইমসের সিইও মিসেস মুনমুন চক্রবর্তী বলেন, “এই অনুষ্ঠানে অভূতপূর্ব সাড়া দেখে আমরা সত্যিই আনন্দিত।”
ওম্যান টাইমসের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য মমতা বিনানী বলেন, “‘অস্তিত্ব: এক রূপ কি পেহচান’ কেবল একটি অনুষ্ঠান নয় – এটি পরিচয়, স্থিতিস্থাপকতা এবং নারীত্বের অদম্য চেতনার উদযাপন।”
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ডিমেনশিয়া কেন্দ্রিক একটি আকর্ষণীয় চলচ্চিত্রের নির্মাতা টিম পুরাতনের উপর আলোকপাত। ভারত যে নীরব কিন্তু ক্রমবর্ধমান বার্ধক্যজনিত চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়াই করছে, তার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণের জন্য তাদের প্রচেষ্টাকে সম্মানিত করা হয় এই দিন। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সিনেমার মতো শক্তিশালী মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়।





