EURO 2020: নিজেদের আন্ডারডগ মানতে নারাজ জার্মানি, সতর্ক দেঁশ

raktim ghosh |

Jun 15, 2021 | 2:31 AM

    খেলতে নামার আগে ফ্রান্স থিঙ্ক ট্যাঙ্কের নজরে রয়েছে  দুর্বল জার্মানির ডিফেন্সের দিকে। পরিসংখ্যান বলছে শেষ ১৩টি ম্যাচে জার্মানি হজম করেছে মোট ২০টি গোল। এমবাপে-বেনজেমা-গ্রিজম্যান, এই ত্রয়ীকে সামলানো যে জার্মান ডিফেন্সের কাছে কঠিন পরীক্ষ, তা মানছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। 

EURO 2020: নিজেদের আন্ডারডগ মানতে নারাজ জার্মানি, সতর্ক দেঁশ
বাঁদিকে প্রস্তুতির ফাঁকে ন্যুয়ার, ডানদিকে অনুশীলনে এমবাপে ও বেনজেমা

Follow Us

মিউনিখঃ একটি দল ফিফা(fifa) ক্রমতালিকায় ২ নম্বরে। অন্য দল রয়েছে ১২ নম্বরে। তবে কাগজে কলমে যে দুটি দলের মধ্যে পার্থক্য খুব বেশি নয়, সেটা জানে গোটা দুনিয়া। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে  ফ্রান্সের(france) মুখোমুখি হবে জার্মানি(germany)। তার আগে কার দিকে পাল্লাভারি, সেই বিষয়ে জোর দিয়ে তো বলতে পারছেনও না অতি বড় ফুটবল সমর্থকও। শুধু কি তাই, দুই নম্বরে থখাকা ফ্রান্সের হেড কোচ দিদিয়ের দেঁশ-র(Didier Deschamps)গলাতেও তো একই রকম অতি সতর্কতা।

গ্রুপ এফ। চলতি ইউরোয় যাকে বলা হচ্ছে গ্রুপ অফ ডেথ(group of death)। জাার্মানি, ফ্রান্স ছাড়াও রয়েছে ইউরো(euro 2021) চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালও। আর গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচেই  মুখোমুখি দুই হট ফেভারিট জার্মানি ও ফ্রান্স। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে নামার আগে ফের একবার প্রকাশ্যে জার্মান জাত্যাভিমান। ম্যাচের আগে সাবাদিক সম্মেলনে গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের দাবি, “ফ্রান্সের প্রতি আমাদের যথেষ্ট সমীহ রয়েছে। তার মানে এই নয় এই ম্যাচে আমরা আন্ডারডগ হিসেবে শুরু করছি।আমরা এই ম্যাচ যেন কোনভাবে জিততে চাই।”

ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের মন্তব্যেই স্পষ্ট, ফিফা ক্রমতালিকায় কে পিছিয়ে, কে এগিয়ে এই নিয়ে একেবারেই ভাবতে নারাজ। মাথায় রাখতে চায়না ২০১৮ বিশ্বকাপে তাঁদের জঘন্য পারফরম্যান্স। সেবার তো গ্রুপ পর্যাই টপকাতে পারেনি জোয়াকিম লো-র দল। মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়ার মত দলের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। মাঝের ৩ বছরে অনেক জল গড়িয়েছে।  পারফরম্যান্সে চড়াই উতরাই দেখেছে ফ্রাঞ্জ বেকেনবাউয়ারের দেশ।  এবার যে তাঁরা ফেভারিট হিসেবে শুরু করছে, এমনও নয়। তবে গ্রুপ অফ ডেথে ফের নিজেদের জাত চেনাতে মরিয়া জার্মানি।

এই জার্মানি দল অবশ্য অনেক তরুণ। ২ বছর পর দলে টমাস মুলার ও ম্যাট হুমেলস ফেরায়, যোগ হয়েছে অভিজ্ঞতাও। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্য মিলিয়েই প্রথম ম্যাচে বাজিমাত করতে মরিয়া কোচ জোয়াকিম লো। প্রসঙ্গত, এই টুর্নামেন্টই জার্মানির কোচ হিসেবে শেষ টুর্নামেন্ট হতে চলেছে জোয়াকিম লো-র কাছে।

ঘরের মাঠে খেলতে নামার আগে জার্মানি যখন হুঙ্কার দিচ্ছে, তখন বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা অনেক ডিফেন্সিভ। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কোচ দিঁদিয়ের দেঁশ বেশি চিন্তিত দলের কম্বিনেশন নিয়ে। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচের পর দলের দুই তারকা জিরু ও এমবাপের মধ্যে ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ চাপে রেখেছে ফ্রান্স টিম ম্যানেজমেন্টকে। দুই আপফ্রন্ট তারকার মধ্যে দ্বন্ধ মেটাতে তৎপর খোদ দেঁশও। ম্যাচে কোনও প্রভাব পড়বেনা বলে দাবি করলেও সতর্ক ফরাসি কোচ। ম্যাচ শুরুর আগে কোচ দেঁশ-র মন্তব্য, “জার্মানি এই টুর্নামেন্টের আগে অনেক বেশি মোটিভেটেড।দারুন শুরু করতেও মরিয়া। তার উপরে তাঁরা নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে নামবে। ফলে আমাদের কাছে এটা বেশ কঠিন লড়াই হতে চলেছে।”

খেলতে নামার আগে ফ্রান্স থিঙ্ক ট্যাঙ্কের নজরে রয়েছে  দুর্বল জার্মানির ডিফেন্সের দিকে। পরিসংখ্যান বলছে শেষ ১৩টি ম্যাচে জার্মানি হজম করেছে মোট ২০টি গোল। এমবাপে-বেনজেমা-গ্রিজম্যান, এই ত্রয়ীকে সামলানো যে জার্মান ডিফেন্সের কাছে কঠিন পরীক্ষ, তা মানছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।

তাই ঘরের মাঠে খেলতে নামার আগে হুঙ্কার দিলেও স্বস্তি যে একেবারেই নেই জার্মানি শিবিরে, তা বলাই বাহুল্য।

Next Article