‘জীবন’ আর ‘জীবনযাত্রা’র লড়াই, ইকনমিক সার্ভে হাতে লকডাউনের স্বপক্ষে সওয়াল প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার
নয়া দিল্লি: ২০২০-তে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা বিশ্বে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতারাতি দেশ জুড়ে লকডাউন জারি করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তার পরের ছবিটা সবারই জানা। শ্রমিকদের কষ্টের ছবি দেখে অনেকেই দায় ঠেলে ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে। মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতির জন্য লকডাউনকেই দায়ী করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু শুক্রবার ইকনমিক […]
নয়া দিল্লি: ২০২০-তে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা বিশ্বে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতারাতি দেশ জুড়ে লকডাউন জারি করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তার পরের ছবিটা সবারই জানা। শ্রমিকদের কষ্টের ছবি দেখে অনেকেই দায় ঠেলে ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে। মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতির জন্য লকডাউনকেই দায়ী করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু শুক্রবার ইকনমিক সার্ভে পেশ হওয়ার পর কেন্দ্রের অবস্থানের পক্ষেই সওয়াল করলেন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রহ্মণ্যম।
লকডাউন কেন, তার ব্যাখ্যা গিতে গিয়ে মহাভারতের উদাহরণ টেনে আনেন তিনি। বলেন, যে কোনও বিপদে প্রাণ রক্ষা করাই ধর্মের মূল কথা। লকডাউনের স্বপক্ষে তাঁর যুক্তি, “অনেক বেশি কিছু পাওয়ার জন্য, স্বল্প দিনের কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে ভারতকে।” যে পথে ভারতের অর্থনীতি ফের প্রাণ পাচ্ছে তাকে ‘V-shaped recovery’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। অর্থাৎ একটু একটু করে প্রশস্ত হচ্ছে সেই পথ।
আরও পড়ুন: শাহি সভায় বিজেপিতে যোগদান, দেখে নিন সম্ভাব্য তালিকা
কৃষ্ণমূর্তির দাবি, সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ। আর এরকম একটা সিদ্ধান্তের জন্য কয়েক লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। তাঁর কথায়, ওই লকডাউন যে শুধু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে তাই নয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে মুক্তির পথ সুগম করেছে।
প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এদিন আরও বলেন, লড়াইটা ছিল ‘জীবন’ আর ‘জীবনযাত্রার’ মধ্যে। সরকারের সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত ‘জীবন’ আর ‘জীবনযাত্রা’ দুটোকেই বাঁচিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজীবও এখন তৃণমূলের ‘প্রাক্তন’
ইকনমিক সার্ভেতে পরিসংখ্যান তুলে ধরে কৃষ্ণমূর্তি বুঝিয়ে দেন, ভারতের যা জনসংখ্যা সেই তুলনায় করোনা আক্রান্ত বা মৃতের সংখ্যা অনেকটাই কম।
বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, করোনা সংক্রমণের প্রকোপ অনেকটাই কমে এসেছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত এক সপ্তাহ ধরে, দেশের ৫ টি জেলায় নতুন করে কোনও সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি।
১৩০ কোটির দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ছিল অনেকটাই বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকার পরই রয়েছে ভারত। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই সংক্রমণ পৌঁছেছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তারপর থেকে ক্রমশ কমতে শুরু করে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, ভারত সাফল্যের সঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। সংক্রমণের গ্রাফও অনেকটাই নেমেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পরিসংখ্যান হিসেবে উল্লেখ করেন, দেশের ৭১৮ টি জেলার মধ্যে ১৪৬ টিতে গত ২ সপ্তাহ ধরে কোনও নতুন সক্রমণের খবর নেই।