Partha Arpita Money News: অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকা কার? প্রমাণের দায় পার্থ-অর্পিতারই

Aug 10, 2022 | 11:27 PM

পার্থ ও অর্পিতা দুজনেই বলছেন টাকা তাঁদের নয়। কিন্তু টাকা যেহেতু অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে, তাই তাঁকেই প্রমাণ করতে হবে ওই টাকা তাঁর নয়, নাহলে নিস্তার নেই তাঁর।

Follow Us

কলকাতা: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সেই টাকা স্টেট ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রেখেছে ইডি। কিন্তু ওই টাকার মালিক কে, তা এখনও জানা যায়নি। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, দুজনেই বলছেন ওই টাকা তাঁদের নয়। তাঁর অজান্তে টাকা ঢোকানো হয়েছে তাঁর ঘরে, বলছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

ফৌজদারি আইন অনুযায়ী আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় উদ্ধার হওয়া টাকা কার, তা প্রমাণ করতে হয় তদন্তকারী সংস্থাকে। কিন্তু অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে (PMLA) টাকা কার তা প্রমাণের দায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নয়। এক্ষেত্রে অভিযুক্তকেই প্রমাণ করতে হয় ওই টাকা তাঁর নয়।

পিএমএলএ আইন অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত টাকা অবৈধ প্রমাণ না হলে সুদ সহ তা ফেরত দিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পার্থ ও অর্পিতা দুজনেই বলছেন টাকা তাঁদের নয়। আইনজীবীরা বলছেন, এই দাবিতেই যদি তাঁরা অনড় থাকেন তবে এই টাকা চলে যাবে রাজকোষে। আবার অন্যদিকে যেহেতু টাকা অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে, তাই তাঁকেই প্রমাণ করতে হবে ওই টাকা তাঁর নয়, নাহলে নিস্তার নেই তাঁর।

বাজেয়াপ্ত হওয়া এই টাকার ভবিষ্যৎ-ও যেমন অনিশ্চিত, তেমনই অনিশ্চিত মামলার ভবিষ্যতও, বলছেন খোদ আইনজীবীরাই। তার কারণ একটাই, বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে বিচারপর্ব শেষ হওয়া অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ। পরিসংখ্যান বলছে, আর্থিক তছরুপ আইন বলবৎ হওয়ার ১৭ বছরের মধ্যে এই মামলায় ৫ হাজার ৪২২টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। কিন্তু শাস্তি পেয়েছে মাত্র ২৩ জন।

কলকাতা: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সেই টাকা স্টেট ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রেখেছে ইডি। কিন্তু ওই টাকার মালিক কে, তা এখনও জানা যায়নি। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, দুজনেই বলছেন ওই টাকা তাঁদের নয়। তাঁর অজান্তে টাকা ঢোকানো হয়েছে তাঁর ঘরে, বলছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

ফৌজদারি আইন অনুযায়ী আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় উদ্ধার হওয়া টাকা কার, তা প্রমাণ করতে হয় তদন্তকারী সংস্থাকে। কিন্তু অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে (PMLA) টাকা কার তা প্রমাণের দায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নয়। এক্ষেত্রে অভিযুক্তকেই প্রমাণ করতে হয় ওই টাকা তাঁর নয়।

পিএমএলএ আইন অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত টাকা অবৈধ প্রমাণ না হলে সুদ সহ তা ফেরত দিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পার্থ ও অর্পিতা দুজনেই বলছেন টাকা তাঁদের নয়। আইনজীবীরা বলছেন, এই দাবিতেই যদি তাঁরা অনড় থাকেন তবে এই টাকা চলে যাবে রাজকোষে। আবার অন্যদিকে যেহেতু টাকা অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে, তাই তাঁকেই প্রমাণ করতে হবে ওই টাকা তাঁর নয়, নাহলে নিস্তার নেই তাঁর।

বাজেয়াপ্ত হওয়া এই টাকার ভবিষ্যৎ-ও যেমন অনিশ্চিত, তেমনই অনিশ্চিত মামলার ভবিষ্যতও, বলছেন খোদ আইনজীবীরাই। তার কারণ একটাই, বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে বিচারপর্ব শেষ হওয়া অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ। পরিসংখ্যান বলছে, আর্থিক তছরুপ আইন বলবৎ হওয়ার ১৭ বছরের মধ্যে এই মামলায় ৫ হাজার ৪২২টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। কিন্তু শাস্তি পেয়েছে মাত্র ২৩ জন।

Next Video