কলকাতা : ২০২৪-এর আগে পঞ্চায়েতেই হবে অ্যাসিড টেস্ট। দুর্নীতি, বকেয়া ডিএ, নিয়োগে বঞ্চনার মতো ইস্যুকে ব্যালট বক্স থেকে কয়েক যোজন দূরে পাঠাতে তৎপর ঘাসফুল শিবির। সোমবার থেকে পুরোদমে ময়দানে নামছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই তৈরি হল নির্বাচন কমিটি। কমিটিতে থাকছেন দলের শীর্ষনেতারা। পঞ্চায়েত ভোটে আগে কিসের নির্বাচন? তৃণমূল এই প্রক্রিয়ার নাম দিয়েছে ‘গ্রাম বাংলার মতামত’। সহজ ভাষায় গণভোট। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাকে প্রার্থী করা হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই সর্বসাধারণের মতামত গ্রহণ করা হবে। কড়া নজরে হবে সেই গণভোট। রাজ্য স্তরে কেন্দ্রীয় ভাবে এই নির্বাচন কমিটি কাজ করবে।
সুব্রত বক্সিকে কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকছেন ২২ জন নেতা, আর প্রতিটি জোনাল কমিটিতে থাকছেন ৭ জন করে নেতা। রাজ্য কমিটিতে সুব্রত বক্সি ছাড়াও থাকছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মানস ভুঁইঞা, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রসূন বন্দ্য়োপাধ্যায়, মালা রায়, দোলা সেন, নাদিমুল হক, শান্তনু সেন, আবীর রঞ্জন বিশ্বাস, প্রতিমা মণ্ডল, বুলুচিক বড়াইক, বিবেক গুপ্তা, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিরাম মাহাতো, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, গিরিন্দ্রনাথ বর্মণ, হুমায়ুন কবির, বীরেন্দ্রনাথ টুডু।
জেলা কমিটি, পঞ্চায়েত সমিতির সব সদস্য, ব্লকের সভাপতি ও শাখা সংগঠনের প্রধানরা ভোট দিতে পারবেন। অভিষেকের জেলা সফরে গোপন ব্যালটে এই ভোট প্রক্রিয়া চলবে জেলায় জেলায়। সোমবার থেকেই সেই জেলা সফর শুরু হচ্ছে। তার আগে রবিবারই কেন্দ্রীয় স্তরে নির্বাচন কমিটি ঘোষণা করল তৃণমূল। মোট আট টা জোনে ভাগ করা হয়েছে গোটা রাজ্যকে। শুধু কমিটিই নয়, সেই গোপন ব্যালটের ভোটে থাকবে প্রিসাইডিং অফিসারও। অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ ভোটের মতোই হবে এই প্রক্রিয়া।
তবে তৃণমূল আগেই জানিয়েছে, প্রার্থী তালিকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কালীঘাট থেকেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে প্রার্থীদের গায়ে যেন কোনও দুর্নীতির দাগ না থাকে, সে ব্যাপারে তৃণমূল সতর্ক থাকবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।