তামাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক। ধূমপানের ফলে আমাদের ধমনী দুর্বল হয়ে পড়ে বা তাদের কার্যক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার জেরে করোনারি হার্ট ডিজিজ, এমনকি হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। এরকম অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, বিগত বছরগুলিতে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বৃদ্ধির পিছনে ধূমপানও একটি বড় কারণ। তবে কেবল বিড়ি, সিগারেট নয়, গুটখাল খেলে এবং তামাক দাঁতে ঘষলেও স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়। মুখ, ফুসফুস থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গের ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিশিষ্ট চিকিৎসকের মতে, ধূমপান বা তামাক সেবন আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তামাক সেবনে শুধু মুখের নয়, ফুসফুস, পাকস্থলী, মূত্রাশয়, কিডনি, অগ্ন্যাশয় ও জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে। এমনকি অতিরিক্ত ধূমপান সেবনের ফলে আমাদের মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলির আস্তরণে রক্ত জমাট বাঁধে। ফলে ধূমপানে আসক্ত ব্যক্তিরাও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন এবং আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তনালীগুলি দুর্বল হওয়ার ফলে করোনারি হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
তামাক ছাড়ার উপায়
ধূমপান বা গুটখার নেশা থাকলেও ইচ্ছা করলে সেটা ছাড়তে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন আপনার ধূমপান বা গুটখা মুখে নেওয়ার ইচ্ছা হবে, তখনই তা উপেক্ষা করুন। নিজেকে কিছু কাজে ব্যস্ত রাখুন। এছাড়া বিশেষজ্ঞের সুপারিশে নিকোটিন ইনহেলার, ক্যান্ডি ব্যবহার করতে পারেন। তবে এগুলো ব্যবহারের আগে সঠিক তথ্য জেনে নিন।