‘গুরুদেবের ঐতিহ্য’ থেকে সরে গিয়েছে বিশ্বভারতী, স্বীকারোক্তি উপাচার্যের

বীরভূম: বিশ্বভারতী (Visva Bharati University) নিয়ে এ বার ব্যর্থতার সুর শুনতে পাওয়া গেল খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কণ্ঠে। খেদের সুরে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty) বললেন, “যে বিশ্বভারতী ছিল সেই বিশ্বভারতীকে আমরা রাখতে পারিনি।” রবিবার রামকিঙ্কর মঞ্চে ‘ভুল রাস্তা’ শীর্ষক একটি নাটক শেষে এ কথা বলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

ইদানীং সময়ে একাধিকবার বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। কর্তৃপক্ষের তরফে অমর্ত্য সেনকে ‘দখলদার’ বলা দাবি করা থেকে শুরু করে পাঁচিল তোলা, সব ঘটনাই তাঁকে আবর্তিত করে ঘটেছে। বিশ্বভারতী ইস্যুকে ঘিরে রাজ্য-কেন্দ্র দ্বন্দ্বও চরমে উঠেছে। এছাড়াও বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য নষ্ট হচ্ছে, এবং বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্র আদর্শ থেকে সরে যাচ্ছে; এই সকল একাধিক অভিযোগে সরব হয়েছেন আশ্রমিক, পড়ুয়া, প্রাক্তনী, শিক্ষা মহলের একটা বড় অংশ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বোলপুর সফরে এসে নাম না করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিন্দার সুর চড়িয়ে ছিলেন।

আরও পড়ুন: ‘ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করা ছাড়া মমতাজির আর কোনও এজেন্ডাই নেই’, তোপ অমিত শাহর

বিশ্বভারতী যে রবীন্দ্র আদর্শ-ঐতিহ্য থেকে সরে গিয়ে তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিন, রতনপল্লীর রামকিঙ্কর মঞ্চে ‘ভুল রাস্তা’ শীর্ষক নাটক পরিবেশিত হয়৷ নাটক শেষে শিল্পীদের সাধুবাদ জানাতে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য। সেই সময় তিনি বলেন, “আমি সব সময় বলি, বিশ্বভারতী আমাদের সবার৷ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে ঐতিহ্য দিয়ে গিয়েছেন তা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার।” তিনি আরও বলেন, “কিন্তু, আমরা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারিনি৷ আমরা ব্যর্থ হয়েছি ঐতিহ্য ধরে রাখতে৷ যে বিশ্বভারতী ছিল সেই বিশ্বভারতীকে আমরা রাখতে পারিনি৷ এবার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর বড় দায়িত্ব।”

আরও পড়ুন: ‘দিদি আপনি প্রভু রামের নাম ত্যাগ করলেও বাংলায় রাম রাজ্য হবে’ : স্মৃতি ইরানি