করোনার আতঙ্ক কাটলে সাফারিতে যেতে হলে গন্তব্য হতে পারে আফ্রিকার এই ৫টা জঙ্গল

রহস্য-রোমাঞ্চ উন্মোচন করার জন্য টাকা জমিয়ে ফেলুন এই লকডাউনের সময়টা। আফ্রিকার জঙ্গলে কোন কোন আপনার ডেস্টিনেশন হতে পারে, জেনে নিন।

করোনার আতঙ্ক কাটলে সাফারিতে যেতে হলে গন্তব্য হতে পারে আফ্রিকার এই ৫টা জঙ্গল
Follow Us:
| Updated on: May 28, 2021 | 9:23 PM

আফ্রিকার জঙ্গল মানেই শিহরণ। ছোটবেলায় বিভূতিভূষণের ‘চাঁদের পাহাড়’ পড়ে প্রথম আফ্রিকার জঙ্গল চেনা অনেকেরই। সেই ছোট থেকেই আফ্রিকা, কালাহারি, ব্ল্যাক মাম্বা মাথা থেকে কিছুতেই বেরতে চায় না। এই প্যান্ডেমিক কাটলে আফ্রিকার জঙ্গল ডেস্টিনেশন হবে নাকি? তাহলে এই রহস্য-রোমাঞ্চ উন্মোচন করার জন্য টাকা জমিয়ে ফেলুন এই লকডাউনের সময়টা। আফ্রিকার জঙ্গলে কোন কোন আপনার ডেস্টিনেশন হতে পারে, জেনে নিন।

১) ম্যাপুংউবুয়ে জাতীয় উদ্যান:

ইউনিসকোর তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীর বন্যপ্রাণীদের বসবাসযোগ্য সবচেয়ে শান্তির জায়গা এটি। বন্য হাতি, ঈগল, ৪০০-এর বেশী পাখি, এবং ভয়ঙ্কর কিছু প্রাণীর বসবাস এখানে। বিস্তির্ণ অঞ্চল জুড়ে হলুদ ঘাস রয়েছে এখানে, এবং মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে বৃহদাকার সব গাছ। বাওয়াব গাছ, ফাঁকা জমি এবং এখানকার রেলপথগুলি এই অঞ্চলের বিশেষ আকর্ষণ।

২) কুর্গার জাতীয় উদ্যান:

আফ্রিকার কুর্গার জাতীয় উদ্যান হল সবচেয়ে পুরানো জঙ্গল, যেখানে সাফারি শুরু হয়। এই অরণ্য থেকে হাতির দাঁত বিক্রির চোরাপাচার বেড়েছিল বেশ, তাই দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল কুর্গার। এই জঙ্গলটিতে যেতে হলে বেশ ভিতরে যেতে হবে আপনাকে, বন্যপ্রাণের ভয় হওয়াটা স্বাভাবিক, তবে গাইডরা একেবারেই ভয় পেতে দেবে না আপনাকে।

আরও পরুন: লং ড্রাইভে বিদেশ যাবেন? জেনে নিন নিউ দিল্লি থেকে বিদেশ যাওয়ার পাঁচটি আকর্ষণীয় রুটের হদিশ

৩) পাইনেসবার্গ জাতীয় উদ্যান:

আফ্রিকার সান শহরের একেবারেই পাশে আবস্থিত পাইনেসবার্গ জাতীয় উদ্যান। পশুপাখি এবং উদ্ভিদে ঠাসা এই জঙ্গলে সাফারিতে অদ্ভূত এক অভিজ্ঞতা হবে আপনার। আফ্রিকান চমরিগাই, সাদা এবং কালো গণ্ডার, সিংহ, চিতা, জেবরা, হাতি এবং আরও বন্যপ্রাণের বসবাস এখানে।

৪) মাদিকওয়ে গেম রিজার্ভ: এই জঙ্গলের ভিতরে হোম-স্টে তে থাকলে হাতির হুংকারে আপনার ঘুম ভাঙবে। বন্যপ্রাণীদের গায়ের গন্ধে ঘুমোতে যাবেন আপনি ঘরের ভিতরেই। জঙ্গলের মধ্যে থেকে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পেতে হলে আপনার গন্তব্য অবশ্যই মাদিকওয়ে গেম রিসার্ভ।

৫) কালাহারি ট্রান্সফ্রন্টিয়ার পার্ক: কালাহারি মরুভূমিতে লোকবসতি একেবারেই নেই। দীর্ঘ এই মরুভূমিতে জলের চাহিদা প্রচুর। এই মরুভূমিতেই বসবাস বন্যপ্রাণীদের। আফ্রিকার সবচেয়ে দীর্ঘ অরণ্য এটি। এখানে চিতা, সিংহ, হায়না ঘুরে বেড়ায়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আদিবাসি সম্প্রদায়ের বাস এখানে। এখানে ক্যাম্প করে থাকার মত ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা বিশ্বের আর কোথাও পাবেন না।