Vastu Shastra: পুরনো ক্যালেন্ডার, বন্ধ ঘড়ি এইসব রয়েছে বাড়িতে? এক্ষুনি সরান, নইলে…
বাস্তুশাস্ত্র মতে, বাড়িতে বেশ কিছু জিনিস রাখতে নেই। যা রাখলে দারিদ্র ধেঁয়ে আসে। ভাগ্যের চাকা থমকে যায়।

সমস্যার বেড়াজালে কেউ আটকে থাকতে চান না। সমস্যা মানেই জীবন কার্যত অতিষ্ট। বাস্তুশাস্ত্র মতে, বাড়িতে বেশ কিছু জিনিস রাখতে নেই। যা রাখলে দারিদ্র ধেঁয়ে আসে। ভাগ্যের চাকা থমকে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে কোন কোন জিনিস ঘরে রাখা অশুভ।
কোন জিনিসগুলো তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে সরাবেন? নইলে দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছুই মিলবে না—
- পুরনো ক্যালেন্ডার – বাড়িতে পুরনো ক্যালেন্ডার থাকা খুবই স্বাভাবিক। কমবেশি সকলের বাড়িতে পুরনো ক্যালেন্ডার থাকে। এটা রাখবেন না। এক বছরের পুরনো ক্যালেন্ডার বা তার থেকে বেশি পুরনো বছরের ক্যালেন্ডার রাখলে নেতিবাচক শক্তি বাড়ে।
- বন্ধ ঘড়ি – কারও বাড়িতে কোনও পুরনো বা বন্ধ ঘড়ি থাকলে সেটি সরিয়ে দিতে হবে। কিংবা সারিয়ে নিতে হবে। বন্ধ ঘড়ি জীবনে স্থবিরতা ও বাধা নিয়ে আসে।
- ভাঙা কাচ – কোনও বাড়িঘরে ভাঙা কাচ রাখা ঠিক নয়। এটি অশুভ। ঘরে ভাঙা কাচ বা ভাঙা আয়না যে কারও দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে। তাই ঘর থেকে ভাঙা কাচ সরিয়ে ফেলা উচিত। ভাঙা জিনিসপত্র ঘরে রাখলে নেতিবাচক শক্তি বেড়ে যায়।
- কাঁটাযুক্ত গাছপালা – যে কোনও বাড়িতে কাঁটা গাছ লাগানো ঠিক নয়। এই গাছগুলি বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি আকর্ষিত করে। শুকনো গাছপালাও কোনও বাড়িঘরে রাখা উচিত নয়।
- মরচে ধরা জিনিস – যদি আপনার বাড়িতে কোনও পুরনো জিনিসে মরচে ধরেছে তা হলে সেটি ঘর থেকে বের করে দিতে হবে। বিশেষ করে পুরনো লোহার জিনিসপত্র বাড়িঘরে রাখা উচিত নয়। এ ছাড়া ভাঙা কাপ, ভাঙা গ্লাস, ফাটা প্লেট বা ফাটা হাঁড়ি ঘরে রাখবেন না। পরিবারে কষ্ট ডেকে আনে।
- আবর্জনা এবং পুরনো জিনিসপত্র – যে কোনও ঘরবাড়িতে আবর্জনা বা ময়লা রাখবেন না। যে সকল ঘরবাড়িতে নোংরা বেশি থাকে, সেখানে লক্ষ্মী দেবী থাকতে পারেন না। অনেকে বাড়ির বেসমেন্টে বা ছাদে বা অন্য কোথাও পুরানো আবর্জনা জমিয়ে রাখেন, তা হলে তা অবিলম্বে ঘর থেকে বের করতে হবে।
যখন কোনও জিনিসপত্র দীর্ঘদিন ধরে কারও বাড়িতে পড়ে থাকে বা ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে থাকে, তা সেই পরিবারে নেতিবাচকতা বয়ে আনে। ওই জিনিসপত্র আর্থিক সংকট, রোগ ও মানসিক চাপের কারণও হতে পারে।
বিঃ দ্রঃ – এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা বাস্তুশাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।
