ত্বকের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন না এমন মানুষের সংখ্যা কম। ত্বকে দাগ-ছোপ, মেচেতা, ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া, ব্রণ অ্যাকনের সমস্যা এসব লেগেই থাকে। এই সব সমস্যার হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে উপায় একটাই। ডিপক্লিনিং। এর পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু ফেসিয়ালও করে দেখতে পারেন। কারণ সব সময় মুখের উপর কেমিক্যালের প্রয়োদগ একেবারেই ভাল নয়। জল ঝরানো টকদই দিয়েই সারুন দারুণ এই ফেসিয়াল। এতে মুখের গ্লো বাড়বে আর ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার থাকবে।
জল ঝরানো টকদই আর বড় এক চামচ চিনি একটা বাটিতে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। যাবতীয় মুখের ময়লা দূর করবে এই ফেসপ্যাক। মুখের ময়লা নরম করে তুলে দিতে পারে চিনি। সেই সঙ্গে মুখের ফর্সা ভাবও বজায় থাকবে। চিনি এই ভাবে লাগাললে স্ক্রাবিং আর ক্লিনজিং দুটোই একসঙ্গে হয়ে যায়। এবার ভিজে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিতে হবে। এতে পিম্পলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
আবারও জল ঝরানো টকদই আর একচামচ চালগুঁড়ি নিতে হব। চোখের তলায় কালি পড়লে, চোখ ফুলে থাকলে আর মুখে যদি খুবই দাগ স্পট থাকে সেক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যায় এই জলঝরানো টকদইকে। এবার এই দুই এর মিশ্রণ মুখে খুব ভাল করে লাগিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে গেলে ভাল করে ঘষে ঘষে তুলে নিতে হবে। আবারও একটি ভিজে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিতে হবে।
মুখে গ্লো আনতে সাহায্য করে ফেসিয়াল ম্যাসাজ। একচামচ অ্যালোভেরা জেল আর এক চামচ জল ঝরানো টকদই নিন। এই দুটো উপাদান খুব ভাল করে মিশিয়ে মুখে মাখুন। জল ঝরানো টকদই একদম ক্রিমের মত হয়। আর যে কারণে মুখের ভাঁজ আর চামড়ার কুঁচকে যাওয়া ভাব দূর করে। ত্বক টানটান করে আর মুখে গ্লো আসে। তবে খুব ভাল করে ম্যাসাজ জরুরি। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করলেই বুঝবেন ভিতর থেকে সব ময়লা উঠে আসছে। ১ মিনিট ধরে এই ম্যাসাজ করতেই হবে। আবারও ভিজে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। রোজ যে হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন তাই মুখে লাগিয়ে নিন।