প্রত্যেকের হাঁটার গতি আলাদা। কেউ বা ধীর স্থির গতিতে হাঁটতে পছন্দ করেন, আবার অনেকে তুলনামূলক দ্রুত গতিতে হাঁটেন। সেটা যে শুধু ব্যস্ততার জন্য, তা নয়। অনেকেরই জোরে হাঁটার অভ্যেস। যাঁরা শুধুমাত্র প্রয়োজনে হাঁটছেন সেটার ক্ষেত্রেও যেমন, একই ভাবে যাঁরা এটিকে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের অংশ করে নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রযোজ্য। কারণ, যাঁরা এটিকে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের অংশ করেছেন, এর জন্য বাড়তি সময় দিচ্ছেন এবং মনোসংযোগ করছেন। জোরে হাঁটার কারণে স্বাস্থ্যে অনেক লাভ হয়। গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
প্রায় ২৫ হাজার মানুষ, যাঁদের ওজন বাড়ার ধাত রয়েছে, তাঁদের নিয়ে জাপানে একটি গবেষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন গতিতেই হেঁটেছেন। সেই সমস্ত তথ্য এক করে তাঁদের থেকে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রত্যেকটে একটি কমন প্রশ্নও করা হয়েছিল যে, তাঁদের বয়স অনুযায়ী হাঁটার গতি কি যৌন সঙ্গমের তুলনায়ও বেশি?
জাপানের এই গবেষণায় উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা দ্রুতগতিতে হাঁটেন, তাঁদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ক্ষীণ। শুধু তাই নয়, হাইপারটেনশন, ডিস্লিপডেমিয়ার সম্ভাবনাও কম করে এই অভ্যেস। হাঁটার গতি এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের মধ্যে যে বড় সংযোগ রয়েছে, গবেষণায় তা উঠে এসেছে। যাঁরা দ্রুত হাঁটেন তুলনামূলক ভাবে তাঁদের কার্ডিওরেসপিরেটারি ফিটনেস ভালো হয়। শুধু তাই তাই, ওজন ঠিক রাখতে হাঁটার গতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলেও জানা গিয়েছে।