Snacks Ideas: ডাল দিয়ে মাখা নয়, মুসুর-মুড়ি মিশিয়েই তৈরি হবে মুখে জল আনা এই রেসিপি
High Fiber Food: একমুঠো ধনেপাতা কুচি করে নিতে হবে। মাঝারি সাইজের একটা পেঁয়াজ পাতলা পাতলা করে কেটে নিন। একটা বড় বোলের মধ্যে পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচি আর ডাল বাটা দিয়ে স্বাদমতো নুন, হলুদ, কাঁচালঙ্কা কুচি আর গুঁড়ো করে রাখান মশলা দিন

এককালে স্কুল থেকে ফিরে গ্রাম বা মফস্বলের ছেলে-মেয়েরা ডাল দিয়ে মুড়ি মেখে খেত। দুপুরের ডাল-তরকারি দিয়ে মুড়ি খেতে লাগে দারুণ. একবার যে খেয়েছে সেই বোঝে এর স্বাদ। অন্যদের কাছে এই সব খাবার হাসির খোরাক মাত্র। ডালের মধ্যে থাকে প্রোটিন আর ফাইবার। মুড়ির মধ্যেও ক্যালোরি কম ফাইবার বেশি। ডাল দিয়ে মুড়ি মেখে খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। েই সব খাবার এখন প্রায় রহারিয়েই যেতে বসেছে। পরিবর্তে জায়গা করে নিয়েছে চাউমিন, পিৎজা, পাস্তার মত খাবার। সঙ্গে আরও রকমারি খাবার। এসব খাবার শরীরের জন্য মোটেও সুখকর নয়। এর মধ্যো প্রোটিন তো বেশি থাকেই সেই সঙ্গে থাকে অনেক বেশি ক্যালোরিও।
বঙ্গে সঠিক ভাবে বর্ষা না ঢুকলেও অনেক জায়গায় বর্ষা এসে গিয়েছে। আর বর্ষার দিনে এই ডাল-মুড়ি দিয়েই বানিয়ে নিন মুখরোচক এই পদ। ডালে-মুড়িতে মিশে যে খাবার তৈরি হবে তা কিন্তু খেতে হবে খাসা আর খাস্তাও। অবাক হচ্ছেন তো, ভাবছেন কি এমন খাবার! কেউ কেউ ভাবছেন ডালের সঙ্গে মুড়ি কী ভাবেই বা মেশানো যাবে! আর তাই ঝটপট দেখে নিন মজার এই রেসিপি।
হাফ কাপ মুসুরের ডাল জলে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। মোটামুটি দানা দানা রেখেই ৮ কোয়া রসুন দিয়ে মুসুরের ডাল বেটে নিন। জল দেবেন না। শুকনো কড়াইতে গোটা জিরে আর শুকনো লঙ্কা দিয়ে ভেজে নিন।
একমুঠো ধনেপাতা কুচি করে নিতে হবে। মাঝারি সাইজের একটা পেঁয়াজ পাতলা পাতলা করে কেটে নিন। একটা বড় বোলের মধ্যে পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচি আর ডাল বাটা দিয়ে স্বাদমতো নুন, হলুদ, কাঁচালঙ্কা কুচি আর গুঁড়ো করে রাখান মশলা দিন। সব কিছু খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। একবাটি মুড়ি এই ডালের মিশ্রণে ভাল করে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে আরও একবাটি মুড়ি নিয়ে মিশিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে বড়ার আকারে গড়ে ভেজে নিন। দুই পিঠ একদম সোনালি করে ভেজে নিতে হবে। মুড়ি থাকায় খুব বেশি তেল টানে না। মুড়ি-মুসুরের বড়া টমেটোর সস দিয়ে খেতে লাগে দারুণ। আর সঙ্গে চা থাকলে তো কথাই নেই। বৃষ্টির দিনে এমন পকোড়া থাকলে আর কোনও কিছুই সঙ্গে লাগে না।
