Winter diet: রোজকার ডায়েটে এই সামান্য পরিবর্তন আনলেই শীতের আলসেমি কাটিয়ে মনে-প্রাণে চাঙ্গা হয়ে উঠবেন!

Winter Food: রকমারি রান্না যেমন শীতেই বেশি হয় তেমনই কিন্তু শীতে বাড়ে নানা শারীরিক সমস্যাও। এছাড়াও অতিরিক্ত ঠান্ডায় একটা আলসেমিও কাজ করে। আর তাই কিন্তু অবশ্যি নজর দিতে হবে ডায়েটে

Winter diet: রোজকার ডায়েটে এই সামান্য পরিবর্তন আনলেই শীতের আলসেমি কাটিয়ে মনে-প্রাণে চাঙ্গা হয়ে উঠবেন!
দিনের শুরু করুন স্বাস্থ্যকর এই সব খাবারে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2021 | 4:28 PM

শীতের সকালে ঘুম থেকে ওঠা সবচেয়ে বড় কঠিন কাজ। এরপর সকালের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে স্নান করতে যাওয়া কিন্তু আরও কঠিন। এমনও অনেকে আছেন যাঁরা সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন স্নানঘরের ধারপাশেও যান না। কাজেই আপনি একা নন, আপনার মত আরও অনেকেই আছেন এই তালিকায়। শীতকালে আমোদ-প্রমোদ অনুষ্ঠান একটু বেশি মাত্রাতেই হয়। এছাড়াও ভালোমন্দ খাওয়ার সেরা সময় তো এই শীতকালই। নানা রকম সবজি, ফলে ছেয়ে যায় বাজার। এসবের পাশাপাশি শীতে বাড়ে নানারকম শারীরিক সমস্যা। গ্যাস, অম্বলের সমস্যা থেকে সর্দি-কাশি জ্বর এই সময়ে সব কিছুরই প্রকোপ বাড়ে। অসুস্থতার দোহাই দিয়ে তো আর কাজ থেমে থাকতে পারে না। তাই শীতেও থাকতে হবে সুস্থ। ফের বাড়ছে করোনার প্রকোপ। তাই সেই বিষয়েও যাবতীয় সতর্কতা মেনে চলা দরকার।

খাবার আমাদের শরীরের জন্য় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রয়োজনীয় শক্তি আসে খাবার থেকেই। আর তাই নিজের পছন্দের রোল-চাউমিন নয়, এই নসব স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন রোজকার ডায়েটে।

মিষ্টি আলু- শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা আমাদের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আর তাই সিদ্ধ অথবা রোস্ট করে খেতে পারেন এই মিষ্টি আলু।

ড্রাই ফ্রুটস- সকাল শুরু করুন পেস্তা, আমন্ড, কাজু, আখরোটে। এই সবকটির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি থাকে। শীতের সকালে রোজ ৮ থেকে ১০ টা ড্রাই ফ্রুটস খান। এতে শরীর পাবে বাড়তি এনার্জি। সেই সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।

মধু- মধু খুব ভাল এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। সেই সঙ্গে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। মধু রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ঠান্ডা লাগার সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে। যাদের হজমের সমস্যা হয় কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা যদি প্রতিদিন সকালে ইষদুষ্ণ গরম জলে মধু দিয়ে খান তাহলে ভাল উপকার পাবেন।

ডাল- প্রতিদিন বিভিন্ন রকম ডাল রাখুন ডায়েটে। লাঞ্চে কিংবা ডিনারে অবশ্যই রাখুন এক বাটি ডাল। মুগ-মুসুর-ছোলার ডাল মিশিয়েও বানাতে পারেন। আবার ডাল সিদ্ধ করেও খেতে পারেন। এতে শরীর যেমন পর্যাপ্ত প্রোটিন পায় তেমনই কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

ওটমিল- ব্রেকফাস্ট কিংবা ডিনারে খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার হল এই ওটমিল। ওটসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা শরীরের জন্য খুবই ভাল। এছাড়াও ওটস যে ভাবে খুশি খাওয়া যায়। টকদই দিয়ে খেতে পারেন, দুধ দিয়ে খেতে পারেন কিংবা বা নিয়ে নিতে পারেন রুটিও। অনেকে আবার ওটসের খিচুড়ি পছন্দ করেন। তবে ওটস দুধে ভিজিয়ে ফল দিয়ে খাওয়া কিন্তু সবচেয়ে ভাল।

আরও পড়ুন: Winter health: সিজন চেঞ্জে সুস্থ থাকতে হেঁশেলে মজুত রাখুন এই ৭ মশলা, প্রয়োজন হবে না ওষুধের!