Free Pani Puri: মেয়ে হওয়ার আনন্দে ফ্রি-তে ফুচকা বিলি ফুচকাওয়ালার! পকেট থেকে খসল ৫০ হাজার টাকা!
ফুচকা আবার বিনামূল্যে! এমন খবর চাউর হতেই তাঁর দোকানে ফ্রিতে ফুচকা খাওয়ার ভিড় লেগে যায়। কন্যাসন্তানের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্যই এমন অভিনব সিদ্ধান্ত নেন আঁচল।
দেশের মহিলা নিরাপত্তা, কন্যাভ্রুণ হত্যা নিয়ে চর্চা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুড়িভুড়ি উদাহরণ মিলবে। দেশে বেটি বাঁচাঁ, বেটি পড়াও অভিযান যে দেশের একটি প্রকল্প হতে পারে, সেই দেশের মানসিকতা সম্বন্ধে বিশেষ কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখে প়ড়বে কন্যা সন্তান ও মহিলাদের নানা দুঃখ ভরা কাহিনি। সেগুলি আবার ভাইকারেল মতো শেয়ারও করা হয়। এক প্রোফাইল থেকে অপর প্রোফাইলে শুধু যাতায়াতমাত্র। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কে কতটা কন্যাসন্তানদের প্রতি ন্যায়-বিচার চালাচ্ছেন, তার নিদর্শন হিসেবে মাঝে মাঝে নানান অপ্রীতিকর অমানবিক ঘটনা প্রকাশিত হয়। দেশের জনসংখ্যার বিরাট অংশ এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও বিশ্বাস করেন, মেয়ে পরিবারের একটি অবহেলার বস্তু। পরিবারে মেয়ে হয়ে জন্মানোটা শুধুই একটি বংশবিস্তারের ও ভোগের মেশিন মাত্র। আর কিছু নয়। গরীব ঘরে মেয়ে জন্মানো যে কী ভীষণ রকমের অপরাধ, তা ওই একরত্তি পৃথিবীর আলো দেখার আগেই নানারকম পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু এখানে গল্পটা একটু অন্যরকম। একচিলতে কুঁড়েঘরে কন্যাসন্তান জন্মানোর আনন্দে খদ্দেরদের বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ালেন এক ফুচকাওয়ালা।
মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক রাস্তার ধারে চাটের স্টল চালান ৩০ বছরের আঁচল গুপ্ত। সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন. তাঁর একটি ফুটফুয়ে মেয়ে হবে, এমনটাই তাঁর স্বপ্ন ছিল। ‘কন্যা সন্তানের আমার কাছে সবার আগে পছন্দের । বিয়ে করেছি , তাই সবসময় চাইতাম যেন একটি মেয়ে হোক। কিন্তু ২ বছর আগে আমার স্ত্রী প্রথম পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিল। সেটিও আমার কাছে আশীর্বাদসম। বেটি হ্যায়, কাল হ্যায়।’
ছেলের পর মেয়ে, পরিবার সম্পূর্ণ। এমন স্বপ্ন অনেকের। কিন্তু প্রথম থেকে তিনি চেয়েছেন তাঁর সুখের সংসারে কন্যাসন্তানেরই যেন জন্ম হোক। তাই মেয়ে হওয়ায় তিনি বিনামূল্যে পানিপুরি পরিবেশন করেন। ফুচকা আবার বিনামূল্যে! এমন খবর চাউর হতেই তাঁর দোকানে ফ্রিতে ফুচকা খাওয়ার ভিড় লেগে যায়। কন্যাসন্তানের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্যই এমন অভিনব সিদ্ধান্ত নেন আঁচল। জানা গিয়েছে, ভিড় সামলাতে তাঁকে প্রায় ৫ ঘণ্টায় মোট ১০টি স্টল বসাতে হয়েছিল। এবং তাতে ১০০ টাকা দামের ফুচকা পরিবেশন করেছিলেন তিনি। পরে দেখা যায় তিনি প্রায় ৫০হাজার টাকা পানিপুরি পরিবেশন করেছেন। সংখ্যাটি মোটেই কম নয়। তবে কন্যাসন্তানের জন্মের এমন দুর্লভ অনুভূতির কাছে এমন ৫০ হাজার টাকার সংখ্যা অত্যন্ত নগন্য।
কোভিড সতর্কতা মেনে চলা ও নিরাপদে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আবেদন করা হলেও লোকেরা ফ্রি-তে ফুচকরা খাওয়ার লোভ সামলাতে গিয়ে সব বিধি-নিষেধ ভুলে গিয়েছিল। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেউ কারোর কথা শোনেননি। তবে এমন তৃপ্তি কখনও হয়নি তাঁর। ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড যদি ফ্রি-তে পাওয়া যায়, কে সেই সুযোগ ছাড়তে চায়! আর সেই প্রমাণ এখানেই ঘটে গেল।
আরও পড়ুন: Recipe: ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ক্যানসার নিরাময়, এই ফুচকার গুণ জানলে অবাক হবেন!