Anemia: কারণ ছাড়াই রক্তাল্পতায় ভুগছেন? এই কয়েকটি খাবারেই হবে মুশকিল আসান
Food For Anemia: রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে বা অ্যানিমিয়ার সমস্যা হলে সেখান থেকে আরও জটিল পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। আর তাই সব মানুষকে এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকতে বলা হয়
হিমোগ্লোবিন হল মেরুদণ্ডী প্রাণীর লোহিত রক্ত কণিকায় অবস্থিত এক প্রকারের লৌহ গঠিত, প্রোটিন জাতীয় রঞ্জক পদার্থ, যা প্রধানত অক্সিজেন পরিবহণ করে। ১০০ সিসি রক্তে হিমোগ্লোবিন থাকে ১৪,৫ গ্রাম। তবে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম। মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২.১-১৫.১ গ্রাম পর্যন্ত তা থাকে। কিছুজনের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন থাকে ১০ এর নীচে। সাধারণ অবস্থায় ১১ থাকলেইল তা স্বাভাবিক ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু যখনই এই মাত্রা ৯ এর নীচে নামে তখন থেকেই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে বা অ্যানিমিয়ার সমস্যা হলে সেখান থেকে আরও জটিল পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। আর তাই সব মানুষকে এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকতে বলা হয়। প্রতি মাসে পিরিয়ডসের সময় মহিলাদের শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণ রক্ত বেরিয়ে যায়। তা দূষিত রক্ত হলেও অনেক সময় ভাল রক্তও বেরিয়ে যায়। বিসেষত যাঁদের হেভি ব্লিডিং হয়। এখান থেকেও দেখা দিতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যা। আবার অনেকের দীর্ঘমেয়াদি পাইলসের সমস্যা থাকে। সেখান থেকেও কিন্তু শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যাওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়। শরীরে আয়রন (Iron), বি১২ (B12), ফলিক অ্যাসিডের (Folic Acid) ঘাটতি থাকলে হিমোগ্লোবিন তৈরি হতে পারে না। অ্যানিমিয়ার সাধারণ কিছু লক্ষণ থাকে।
যেমন
অতিরিক্ত দুর্বলতা, জ্বর জ্বর ভাব।
খেতে ইচ্ছে না করা।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা। সিঁড়ি দিয়ে একটু উঠলেই হাঁফ ধরে যায়।
একটানা কাজ করতে না পারা
ফ্যাকাশে বা বিবর্ণ হয়ে যাওয়া। যদি একটানা এই সব সমস্যা চলতে থাকে তাহলে আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যান। চিকিৎসকের কাছে যান এবং প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা করান। কেন শরীরে কম পরিমাণ রক্ত তৈরি হচ্ছে তা জানা কিন্তু বেশি জরুরি। নইলে সেখান থেকে দেখা দিতে পারে একাধিক বিপত্তি।
কী কী খাবেন
*রক্তাল্পতার সমস্যায় সব সময় ভাল খাবার খেতে বলা হয়। অর্থাৎ যে সব খাবারের মধ্যে পুষ্টি রয়েছে। আর যে খাবার খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় রক্ত তৈরি হবে।
*রক্তাল্পতার থেকে অর্ব্যথ ওষুধ হল ডিম। ভাজা কিংবা পোচ নয়। রোজ একটা করে ডিম সিদ্ধ খান। ডিমের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। যা শরীরের কাজে লাগে।
*একটা করে কলা খান। কলা দামেও কম আর সহজলভ্য। চাইলেই আপনি কিনতে পারবেন। সঙ্গে যদি মোচা, থোড় রান্না করে খেতে পারেন তাহলে আরও ভাল।
*রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে কিশমিশ ভেজানো জল খান। এতে শরীরের দুর্বলতা দূর হবে। রক্ত তৈরি হবে। শরীর থাকবে চাঙ্গা।
*কিশমিশ, কাজু, খেজুর আর অ্যাপ্রিকট রোজ সকালে একমুঠো করে খান। রক্তের পরিমাণ বাড়াতে এই সব খাবারের কিন্তু জুড়ি মেলা ভার। সাত দিনের মধ্যেই শরীরে তৈরি হবে প্রয়োজনীয় রক্ত।
*রোজকার তালিকায় সবুজ শাক-সবজি রাখুন। শাক-সবজি যত বেশি পরিমাণে খেতে পারবেন ততই কিন্তু শরীরের জন্য ভাল।