ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র কথা তো অনেক শুনেছেন। রোজ ডে থেকে শুরু করে শুরু প্রপোজ ডে এমনকি স্ল্যাপ ডে’র কথাও সকলেরই জানা। কিন্তু ‘বাবলগাম ডে’ ও যে হয়, তা আগে জানতেন? কারও মতে সেপ্টেম্বরে আবার কারও মতে ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখই নাকি সেই দিন। আর এই দিনেই জেনে নিন বাবলগাম সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য।
বাবলগামের শুভ আবির্ভাব সেই ১৯০৬ সালে। আমেরিকান কোম্পানি ফ্র্যাঙ্ক এইচ ফ্লির প্রথম আবিষ্কার করেন এই পদার্থ। তবে তা ছিল খাওয়ার অযোগ্য। এমন চ্যাটচ্যাটে ভাব ছিল তাতে যে বাজারে বিক্রির মতো অবস্থা ছিল না। এর পর বিস্তর পরীক্ষানিরীক্ষার পর অবশেষে ১৯২৮ সালে ‘জন্ম’ হয় বাবলগামের। ‘জন্ম’ দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই কোম্পানির এক হিসেবরক্ষক ওয়াল্টার ডি’মের। বাজারে আসে প্রথম বাবল গাম ব্র্যান্ড ‘ডাবল বাবল’।
অনেক সময়েই মনে প্রশ্ন জেগেছে বাবল গাম কেন বেশিরভাগ সময় গোলাপি রঙের হয়? এর কারণও লুকিয়ে রয়েছে ওয়াল্টারের আবিষ্কারেই। তিনি যখন বাবলগাম বানান তখন সংস্থায় একমাত্র গোলাপি রঙের ফুড কালারই ছিল। ওয়াল্টারও বেশি কিছু না ভেবে তাই জুড়ে দেন তাঁর নতুন সৃষ্টি। ব্যস, সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে…
এ তো গেল একটি তথ্য। বাবলগাম সম্পর্কে এমন আরও নানান মজের তথ্য রয়েছে। এক ঝলকে দেখে নিন…
♦ মানুষ ছাড়া বাবলগাম চিবোতে পারে হনুমান ও তার সমগোত্রীয়রা। কিন্তু পরীক্ষা বলছে বাবলগামের কন্সেপ্ট তাদের কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য হয়নি। গিলে না ফেললেও, মুখ দিয়ে বের করে সারা গায়ে তা লাগিয়ে দক্ষযজ্ঞ বাঁধিয়েছে তারা।
♦ চুলে যদি বেকায়দায় কোনওদিনও আটকে যায় বাবলগাম, কাঁচি দিয়ে চুল কেটে ফেলবেন না যেন। ব্যবহার করুন পিনাট বাটার। যে জায়গায় লেগেছে বাবলগাম তা বাকি চুলের থেকে আলাদা করে তাতে মাখন লাগিয়ে ঘষতে থাকুন। উঠে যাবে নিমেষেই।
♦ ছোটবেলায় অসাবধানে বাবলগাম গিলে ফেলে সারারাত চিন্তায় ঘুম হয়নি? ভেবেছেন ‘পেটের নাড়িভুঁড়ি যদি জোড়া লেগে যায়’? না, সে সব কিছুই হয় না। আঠা বা গাম যেহেতু হজম হয় না তাই কিছু দিন পর তা মল দিয়ে নির্গত হয়ে যাবে।
♦ ক্যালিফোর্নিয়ার বাবলগাম অ্যালির কথা শুনেছেন? দেশ বিদেশের সমস্ত পর্যটকরা ওই জায়গায় ভিড় করেন চিবোনো বাবলগাম দেওয়ালে লাগানোর জন্য। বছরের পর বছর সেই বাবলগাম জমতে জমতে তা এখন যেন আস্ত ‘সংগ্রহশালা’। রঙ উঠে যাওয়া হরেক রকমের বাবলগামে ভরে গিয়েছে বাবলগামের রাস্তা।