তৈলাক্ত, শুষ্ক- মূলত চুলের ধরন এই দু’রকম। আপনার চুল (hair care) এই দুয়ের মধ্যে একরকম হলে তা নিজেই বুঝতে পারবেন। কিন্তু এছাড়াও রয়েছে কম্বিনেশন চুল (hair care tips)। অর্থাৎ শুষ্ক এবং তৈলাক্ত, দু’রকম উপাদানই থাকে চুলে। এই ধরনের চুলের যত্নের প্রয়োজন অনেক বেশি। ঠিক কীভাবে কম্বিনেশন চুলের যত্ন নেবেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকে অনেকের। কেউ বা নিজের চুল কোন ধরনের সেটাই বুঝতে পারেন না। এক্ষেত্রে নিজের জানা না থাকলে, প্রাথমিক ভাবে রূপ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। তারপর ঘরোয়া পদ্ধতিতে সাধারণ কয়েকটি জিনিস মনে রাখুন। তাহলেই কম্বিনেশন চুল নিয়ে আর চুলোচুলি নয়, বরং চুলের স্বাস্থ্য থাকবে ভাল।
সঠিক শ্যাম্পু নির্বাচন
আপনার চুলের জন্য উপযুক্ত শ্যাম্পু কোনটা সেটা আগে খুঁজে বের করতে হবে। এর জন্য কোনও রূপ বিশেষজ্ঞের সাহায্যও নিতে পারেন। কম্বিনেশন চুলের ধরন হলে সাধারণত একই সঙ্গে তেলতেলে এবং শুষ্ক হয়ে যায়। সুতরাং শ্যাম্পুর মূল উপাদানের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন থাকলে ভাল হয়।
আরও পড়ুন, চুল বড় করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
শ্যাম্পু কীভাবে ব্যবহার করবেন
আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী মাথার তালুতে সরাসরি শ্যাম্পু প্রয়োগ করা ঠিক নয়। বরং সামান্য জলে শ্যাম্পু গুলে নিন। তারপর চুলে প্রয়োগ করুন। হালকা হাতে স্ক্যাল্প মাসাজ করে নেবেন। এতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। কিন্তু জোরে মাসাজ করবেন না। তাতে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
আরও পড়ুন, শীতের আগে ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন?
কন্ডিশনার মাস্ট
চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কন্ডিশনার প্রত্যেকের প্রয়োজন। তৈলাক্ত বা শুষ্ক চুলের থেকেও কম্বিনেশন চুলের ক্ষেত্রে কন্ডিশনার অনেক বেশি প্রয়োজন। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার লাগিয়ে অন্তত দু’মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর সাধারণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
ব্লো-ড্রাই নয়
কম্বিনেশন চুলের ক্ষেত্রে ব্লো-ড্রাই না ব্যবহার করাই ভাল। চুলের বিভিন্ন রকম স্টাইলিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্লো-ড্রাই ব্যবহার করতে হয়। সেটাও যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে পারলেই চুলের স্বাস্থ্য বজায় থাকবে।