Cardamom Water: পেটের মেদ গলাতে এলাচ জলের জুড়ি মেলা ভার, জানুন কখন-কীভাবে করবেন পান
Weight Loss: পুজোর আগে ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন? পুরোদমে ডায়েট করছেন, শরীরচর্চা করছেন, তারপরও কোথাও খামতি থাকছে মনে হচ্ছে? তা হলে এ বার হাতে তুলে নিন এলাচ জল।

ক্যালেন্ডার বলছে আজ ২৬ অগস্ট। সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখ দুর্গাপুজো। ভাবছেন হয়তো এসব হিসেব নিয়ে হঠাৎ কেন বলছি? আসলে অনেকে এখন ডায়েট করছেন। কারণ নির্মেদ শরীর নিয়ে পুজোতে প্যান্ডেল হপিংয়ের প্ল্যান রয়েছে। এ বার ধরুন ওজন কমানোর জন্য ডায়েট থেকে শুরু করে শরীরচর্চা কিছুই বাদ দিচ্ছেন না। তাতেও ধরুন মনে হচ্ছে কোথাও খামতি থাকছে। এমন সময় হাতে তুলে নিতে পারেন এলাচ জল। পায়েস থেকে শুরু করে নানা মিষ্টিতে আলাদা মাত্রা যোগ করে এলাচ। অবাক লাগলেও এর জল পান করলে ওজন কমে।
এলাচ একটি সুগন্ধি মসলা, যা শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না, হজমশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে। এলাচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ডিটক্সিফাইং উপাদান শরীরের টক্সিন দূর করে মেটাবলিজম বাড়ায়। এর ফলে চর্বি দ্রুত ভাঙতে সাহায্য হয়, বিশেষত পেটের মেদ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
কীভাবে কাজ করে এলাচ জল?
- হজমশক্তি বাড়ায়: খাবার দ্রুত হজম করতে সহায়তা করে, অতিরিক্ত চর্বি জমা রোধ করে।
- ঢেকুর ওঠা ও গ্যাস ভাব কমায়: পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি কমায় এবং পেটকে হালকা রাখে।
- মেটাবলিজম বাড়ায়: শরীরের বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে ক্যালোরি বার্নের হার বাড়ায়।
- ডিটক্সিফিকেশন: শরীরের বিষাক্ত উপাদান দূর করে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এলাচ জল তৈরির পদ্ধতি –
রাতে ২-৩টি এলাচ ভিজিয়ে রাখুন এক গ্লাস জলে। সকালে খালি পেটে সেই জল পান করতে হবে। চাইলে হালকা গরম জল ব্যবহার করতে পারেন। এমনটা করলে কার্যকারিতা আরও বাড়ে। উল্লেখ্য, গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। অতিরিক্ত এলাচ খেলে হজমের সমস্যা বা অ্যালার্জি হতে পারে। তবে শুধুমাত্র এলাচ জল নয়, সঠিক ডায়েট ও নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে এটি পান করলে কার্যকর হয়।
