চারিদিকে জাল ওষুধ, এভাবে চিনুন কোনটা আসল কোনটা নকল

আকাশ মিশ্র |

Mar 25, 2025 | 8:41 PM

আসল, নকলের ধাঁধার সমাধান বড্ড কঠিন। আর তা যদি হয় আসল ওষুধ ও নকল ওষুধের ব্য়াপার তাহলে তো বিষয়টা আরও কঠিন হয়ে যায়। তবে ওষুধ কেনার সময় যদি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা যায়, তাহলে ঠকবেন না।

চারিদিকে জাল ওষুধ, এভাবে চিনুন কোনটা আসল কোনটা নকল

Follow Us

আসল, নকলের ধাঁধার সমাধান বড্ড কঠিন। আর তা যদি হয় আসল ওষুধ ও নকল ওষুধের ব্য়াপার তাহলে তো বিষয়টা আরও কঠিন হয়ে যায়। তবে ওষুধ কেনার সময় যদি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা যায়, তাহলে ঠকবেন না। তা কীভাবে চিনবেন আসল ওষুধ খাচ্ছেন নাকি নকল? সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করে জানিয়ে দিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

১) ওষুধের আকার, ওষুধের প্যাকেজিং খুব সচেতনভাবে দেখতে হবে। অর্থাৎ ধরে নিন আপনি এক পাতা প্যারাসিটামল কিনেছেন। প্রথমেই দেখে নেবেন, প্রত্য়েকটা ওষুধের মাপ এক কিনা। ভুয়ো ওষুধের ক্ষেত্রে একেকটা ওষুধের মাপ, একের রকম হবে। সঙ্গে প্যাকেটের মধ্যে হাওয়ার বুঁদবুঁদ দেখা যাবে। আসলে সঠিক ওষুধের ক্ষেত্রে যে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। ভুয়ো ওষুধে তা হয় না বলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে।

২) যদি ক্য়াপসুল হয়, তাহলে একেকটা ক্য়াপসুল একেক রকম রঙের হবে। সাইজেও গণ্ডগোল থাকবে।

৩) আসল ওষুধের ক্ষেত্রে প্যাকেটে থাকবে কিউআরটি কোড। যা স্ক্য়ান করলে, ওষুধ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। এছাড়াও দেখে নেবেন, ওষুধের কোম্পানির নাম, তার পাশেই থাকবে ওষুধের জেনেরিক নাম। তৈরির তারিখ এবং এক্সপেয়ার হওয়ার তারিখ। সঙ্গে থাকবে ব্যাচ নম্বর এবং লাইসেন্স নম্বর। প্রত্যেক ওষুধের ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলো তাদের প্যাকেটে এই তথ্যগুলো দিতে বাধ্য।

৪) এ ব্য়াপারে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে বেশি দামি ওষুধ যা উপাদন দিয়ে তৈরি, তা সস্তার ওষুধে কখনই থাকবে না। তাই যদি ওষুধ খেয়েও সমস্যা না কমে, তাহলে বুঝতে হবে ওষুধে সমস্যা রয়েছে। এক্ষেত্রে স্য়াম্পল টেস্টই সবচেয়ে কাজ দেবে। অর্থাৎ যদি দেখেন, কোনও বিশেষ কোম্পানি ওষুধ খেয়ে সমস্য়া কমছে না, তাহলে অন্য কোম্পানির সেই ওষুধ খেতে হবে। আর এ ব্য়াপারে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।