সুনীতার মহাকাশের সব ছবিতে চুল খোলা, বাঁধতেন না কেন জানেন?

আকাশ মিশ্র |

Mar 18, 2025 | 5:21 PM

৯ মাস ধরে মহাকাশে থেকে অবশেষে ঘরে ফিরছেন নভশ্চর সুনিতা উইলিয়ামস। গোটা বিশ্বের নজর এখন তাই সুনীতার দিকেই। সম্প্রতি সুনীতার স্পেশ স্টেশনের বেশ কয়েকটি ছবিও ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায়।

সুনীতার মহাকাশের সব ছবিতে চুল খোলা, বাঁধতেন না কেন জানেন?

Follow Us

৯ মাস ধরে মহাকাশে থেকে অবশেষে ঘরে ফিরছেন নভশ্চর সুনিতা উইলিয়ামস। গোটা বিশ্বের নজর এখন তাই সুনীতার দিকেই। সম্প্রতি সুনীতার স্পেশ স্টেশনের বেশ কয়েকটি ছবিও ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা গিয়েছিল,সুনীতার চুল মাথার উপর সুন্দর খাড়া হয়ে রয়েছে! সুনীতার এমন ছবি দেখে এক সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেলেন, দেখতে পেলাম একমাথা, কালো ঘন লম্বা চুল। সত্যিই প্রচুর চুল রয়েছে ওর মাথায়। ভালো লাগল দেখে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই উক্তি মিম হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। ঠিক তখনই নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন এল, মহাকাশে যে মহিলা নভশ্চরেরা যায়, তাঁরা বড় চুল কীভাবে সামলান? চুল বাঁধার প্রয়োজন হয়?

পৃথিবীর বুকে যে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকে, তা মহাকাশে শূন্য। ফলে মাথার চুল নিচের দিকে ঝুঁকে পড়ে না। পুরোটাই মাথার উপর সোজা হয়ে থাকে। মূলত, যে কারণে মহিলারা চুল বেঁধে রাখেন, অর্থাৎ গরম থেকে বাঁচতে কিংবা হাওয়ায় এলোমেলো না হয়ে যায়, সেই কারণগুলোর অস্তিত্ব নেই মহাকাশে। তাই এক্ষেত্রে চুল না বাঁধলেও চলে।

চুল না বেঁধে রাখার নেপথ্যে আরও কয়েকটি কারণও খুঁজে বার করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন,

নভশ্চরেরা মূলত, মহাকাশে থাকাকালীন সময়ে এক বিশেষ ধরনের শ্যাম্পু অর্থাৎ ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করে, যা কিনা জল দিয়ে ধুতে হয় না। সেই কারণে চুল মোছারও প্রয়োজন নেই। আর এই জন্যই শ্যাম্পু করার পরও চুল একেবারেই শুকনো থাকে এবং মাথা উপর সোজা হয়ে উড়তে থাকে।

স্পেস স্টেশনের ভিতরে যে হাওয়ার বন্দোবস্ত থাকে, তা বায়ুর আদ্রতা শুসে নেয়। ফলে চুল সবসময়ই ফুরফুরে থাকে এবং জট ধরে না। ব্লো ড্রায়ারের প্রয়োজন হয় না। চুল এলোমেলো হওয়ার সুযোগ থাকে না।

অনেকে নিজের ইচ্ছেতেই চুল খোলা রাখেন। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি না থাকায় চুল চোখ,মুখের উপর এসে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। আর সেই কারণেই চুল বাঁধার কোনও প্রয়োজনীওতা নেই।

নাসার নভশ্চর ক্যারেন নাইবার্গ ২০১৩ সালে ইউটিউবে একটি ভিডিও শেয়ার করে জানিয়ে ছিলেন, মহাকাশে থাকার সময় তিনি চুলের যত্ন কীভাবে নিতেন। তিনি বলেছিলেন, স্ক্যাল্পের মধ্যে উষ্ণ জল নিয়ে, মাসাজ করতাম পরিষ্কার করার জন্য। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখতাম, জলের ফোঁটা উপরের দিকে উড়ে যাচ্ছে। অনেক সময় ওই উড়ন্ত জলের মধ্যেই চুলের আগাগুলোকে ধুয়ে নিতাম। অদ্ভুত এক খেলা চলত। ক্য়ারেন জানান, বিশেষ ধরনের শ্যাম্পু, যা ধুতে হয় না, তা দিয়েই চুল পরিষ্কার করা হতো। সেটা চুলে মাখার পর তোয়ালে দিয়ে মুছলেই চুল ঝকঝকে হয়ে যেত। জট পড়ত না। ক্য়ারন এই ভিডিওতেই জানান, চুল ধোয়ার সময় যে জল বিন্দুগুলো উড়ে যেত, তা একজায়গা জমিয়ে পরিশোধিত করে খাবার জল হিসেবে ব্য়বহার করা হতো।