Medical Success: এ যেন চিকিৎসার ম্যাজিক… মারণ মোয়ামোয়া রোগ থেকে সেরে উঠলেন চব্বিশের তরুণ
Brain disorder-Moyamoya disease: সাধারণত ২৪ বছরের কারও ব্রেনের এই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। প্রথম দিনের বোঝার ক্ষমতাটা ভুলতে পারেননি। চব্বিশে নতুন জীবন পাওয়া তরুণ জানিয়েছেন, এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বুঝতে পারেন, পরীক্ষার খাতায় নিজের নামই লিখতে পারছেন না!
চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক সময় ক্ষীণ সম্ভাবনা থেকেও ম্যাজিকের মতো সব কিছু ঠিক হয়ে যায়। তেমনই এক মারণ রোগ থেকে সেরে ওঠার কাহিনি। মাত্র ২৪-এর তরুণ ব্রেনের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে সঠিক চিকিৎসায় সেরে উঠেছেন। চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন, সাধারণত ২৪ বছরের কারও ব্রেনের এই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। প্রথম দিনের বোঝার ক্ষমতাটা ভুলতে পারেননি। চব্বিশে নতুন জীবন পাওয়া তরুণ জানিয়েছেন, এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বুঝতে পারেন, পরীক্ষার খাতায় নিজের নামই লিখতে পারছেন না!
এই ঘটনার কয়েকদিন পরই চি মিং হেং বুঝতে পারেন, তিনি খাবার সময় চামচ ধরার মতো সাধারণ কাজটিও পারছেন না। তার দু-দিন পর মুখ কেমন ছোট হয়ে আসছিল। চিকিৎসকরা তাঁকে বলেছিলেন, স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আর সে কারণে হাতে দুর্বলতা, হাসতে সমস্যা হচ্ছিল। যদিও তাঁর কথা বলার ও হাঁটার ক্ষমতা ছিল। দ্রুতই চি মিং হাসপাতালে যান এবং নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নেন। চিকিৎসকের সন্দেহ হয়, কোনও ভাস্কুরাল সমস্যা হয়েছে। তবে স্ক্যান এবং আরও নানা পরীক্ষায় ধরা পরে তাঁর অন্য সমস্যা। ব্রেনের এই গুরুতর রোগকে জাপানে বলা হয় মোয়ামোয়া।
জাপানি এই শব্দটির অর্থ, প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া। মোয়ামোয়া রোগ জাপান, কোরিয়া, চিন এবং আরও নানা দেশেই ধরা পড়ে। এর ফলে ডাউন সিনড্রোম, সিকল সেল অ্যানিমিয়া, নিউরোফাইব্রোমাতোসিস টাইপ ১ এবং হাইপারথাইরিডিজম হতে পারে। খুব সহজ করে বললে, ব্রেনের জটিল রোগ। এবং যার ফলে স্নায়ুতন্ত্রে বড় প্রভাব ফেলে।
এই খবরটিও পড়ুন
ব্রেনের এই রোগের চিকিৎসাও প্রবল জটিল এমনটাই বলছেন জাপানের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরাও। তবে কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যও পেলে। চি মিংয়ের ক্ষেত্রেও যেটা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর দু-সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ জীবন কাটাতে শুরু করেন চি মিং।