বাড়ির অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ফ্রিজের আয়ু বাড়াবেন কীভাবে?
Fridge: ফ্রিজ আমাদের ঘরোয়া জীবনের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র। খাবার সংরক্ষণ থেকে শুরু করে ঠান্ডা জল বা বরফ পাওয়া—সব কিছুতেই অপরিহার্য। কিন্তু অনেক সময় ব্যবহারের ভুলে ফ্রিজ তার স্বাভাবিক আয়ুর আগেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ফ্রিজ আমাদের ঘরোয়া জীবনের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র। খাবার সংরক্ষণ থেকে শুরু করে ঠান্ডা জল বা বরফ পাওয়া—সব কিছুতেই অপরিহার্য। কিন্তু অনেক সময় ব্যবহারের ভুলে ফ্রিজ তার স্বাভাবিক আয়ুর আগেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফ্রিজ দীর্ঘদিন ঠিকঠাক রাখতে চাইলে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
১. জায়গা বেছে রাখুন ঠিকভাবে: ফ্রিজ কখনওই দেয়ালের একদম গায়ে রেখে বসানো উচিত নয়। পেছনের দিকে অন্তত ৪-৬ ইঞ্চি ফাঁকা রাখতে হবে যেন তাপ বিনিময় সহজে হয়। বাতাস চলাচলের জায়গা না থাকলে কম্প্রেসারে চাপ পড়ে, ফলে আয়ু কমে যায়।
২. ঘন ঘন দরজা খোলা বন্ধ নয়: প্রয়োজন ছাড়া বারবার ফ্রিজের দরজা খোলা উচিত নয়। এতে ঠান্ডা হাওয়া বেরিয়ে যায়, কম্প্রেসারকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়, ফলে তার ক্ষতি হয়।
৩. গরম খাবার রাখবেন না: গরম খাবার সরাসরি ফ্রিজে রাখলে অভ্যন্তরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং কম্প্রেসারকে তখন বেশি কাজ করতে হয়। তাই খাবার ঠান্ডা হওয়ার পরই রাখুন।
৪. অতিরিক্ত জিনিস রাখবেন না: ফ্রিজে অতিরিক্ত খাবার রাখলে শীতল হাওয়া সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে না, ফলে খাবার নষ্ট হয় এবং যন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে। প্রয়োজন অনুযায়ীই জিনিস রাখুন।
৫. পরিষ্কার রাখুন নিয়মিত: মাসে অন্তত একবার ফ্রিজ পরিষ্কার করা জরুরি। খাদ্যদ্রব্য পড়ে থাকা, বরফ জমে থাকা কিংবা ড্রেনেজ ব্লক থাকলে ফ্রিজের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
৬. ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন হলে স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করুন: ফ্রিজ হঠাৎ করে উচ্চ বা নিম্ন ভোল্টেজে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ভালো মানের স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করলে যন্ত্র অনেকদিন ভালো থাকে।
৭. ডোর সিল পরীক্ষা করুন: ফ্রিজের দরজার রাবারের সিল যদি ঢিলা হয়ে যায়, তাহলে ঠান্ডা হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। দরজা সঠিকভাবে বন্ধ হচ্ছে কি না, মাঝে মাঝে তা দেখে নিন।
৮. নিয়মিত ডিফ্রোস্ট করুন: বরফ জমে গেলে ফ্রিজের ঠান্ডা করার ক্ষমতা কমে যায়। তাই প্রয়োজনমতো ডিফ্রোস্ট করুন।
