kanjivaram silk: রিসেপশনে কাঞ্জিভরম পরতে চান? কী ভাবে চিনবেন আসল শাড়ি, রইল টিপস
Reception saree idea: কাঞ্জিভরমের পাড় চওড়া হয়। সুতোর মধ্যে একটা ডুয়েল টোনও থাকে। শাড়ির আঁচলের কোনা থেকে বেশ কয়েক গোছা সুতো টেনে বার করে নিন। সেগুলি একত্র করে তার এক প্রান্ত আগুনের শিখার উপর ধরুন

আর মাত্র ১০ দিন পরই শুরু হচ্ছে ফের বিয়ের মরশুম। মার্চ পর্যন্ত টানা চলবে বিয়েবাড়ি। কোভিডের পর থেকে বিয়ের হিড়িক বেড়েছে। বন্ধুর বিয়ে, বোনের বিয়ে, দাদা-ভাইদের বিয়ে এসব লেগেই থাকে। বিয়েবাড়ি মানেই এখন দক্ষযজ্ঞ। বেশ ্নেকদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় সেই প্রস্তুতি। এখন আর দু’দিন নয়, বিয়ে মানেই টানা ৫ দিনের উৎসব। মেহেন্দি, সঙ্গীত, আইবুড়োভাত, গায়েহলুদ কতই না অনুষ্ঠান থাকে। প্রতিটি দিনের জন্য আলাদা আলাদা পোশাকের প্রয়োজন পড়ে আর সেই ভাবেই পোশাক নির্দিষ্ট থাকে। বিয়ে, মেহেন্দির পোশাকে ট্র্যাডিশন্যাল ছোঁয়া থাকে। বেনারসি, লেহঙ্গাতেই কাজ চলে যায়। তবে রিসেপশনের সাজ নিয়ে সকলেই একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে চান। সেই তালিকায় যেমন লেহঙ্গা থাকে তেমনই শাড়িও থাকে।
অনেক মেয়েই এখন আর দুটো বেনারসি কিনতে চান না। আর তাই রিসেপশনে বালুচরি, স্বর্ণচুরি, কাতান, গাদোয়াল, কাঞ্জিভরম, কাঞ্চিপুরম এসব শাড়ি বেছে নেন। আবার কেই লেহঙ্গাও পরেন। যদিও এই তালিকায় এগিয়ে রয়েছে কাঞ্জিভরম। কাঞ্জিভরমের ওয়েডিং স্পেশ্যাল কালেকশন সব মেয়েদেরই খুব পছন্দের। আর এই বিশেষ দিনে কাঞ্জিভরম দেখতেও বেশ ভাল লাগে। সব মেয়েরই সেবপ্ন থাকে কালেকশনে যেন অন্তত একটা হলেও কাঞ্জিবরম থাকে। আর সেই সুযোগে সব শাড়ি, বুটিকেই ভরা যোগান থাকে এই কাঞ্জিভরম শাড়ির। দক্ষিণের একটি জনপ্রিয় শাড়ি হল এই কাঞ্জিভরম। তবে দেখে না কিনতে পারলে কিন্তু ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কাঞ্জিভরমের দাম শুরু হয় মোটামুটি সাড়ে পাঁচ-ছ’হাজার টাকা থেকে। এর পর দাম হতে পারে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। রিসেপশনে আপনিও পরতে চান এই কাঞ্জিভরম শাড়ি?
কিনতে যাওয়ার আগে এই টিপস জানা থাকলে ঠকবেন না আপনি।
আসল কাঞ্জিভরম সিল্কের রং উজ্জ্বল হয়। কাঞ্জিভরম শা়ড়ি কেনার সময় দেখে নিন, জরিতে লাল সুতো রয়েছে কি না। যদি না থাকে তা হলে বুঝতে হবে, শাড়িটি আসল কাঞ্জিভরম নয়। শাড়ির উল্টো পিঠে জরির সুতোর গিঁট থাকলে, তা আসল কাঞ্জিভরমের লক্ষণ
কাঞ্জিভরমের পাড় চওড়া হয়। সুতোর মধ্যে একটা ডুয়েল টোনও থাকে। শাড়ির আঁচলের কোনা থেকে বেশ কয়েক গোছা সুতো টেনে বার করে নিন। সেগুলি একত্র করে তার এক প্রান্ত আগুনের শিখার উপর ধরুন। যদি পোড়া চুলের মতো গন্ধ বেরোয় তা হলে বুঝবেন, সিল্কটি আসল। যদি কৃত্রিম কিছু মেশানো থাকে, তা হলে গন্ধ হবে প্লাস্টিক পোড়ার মতো
শাড়ি হাতে ধরে বুঝতে হবে। আসল কাঞ্জিভরম শাড়ি তৈরি করা হয় মালবেরি সিল্ক দিয়ে। কিছু ক্ষণ হাতে ঘষলেই তার মসৃণ, কোমল ভাব অনুভব করা যায়। কৃত্রিম সিল্ক হলে হাতে ধরে তফাত বুঝতে পারবেন সহজেই। এছাড়াও কাঞ্জিভরম শাড়ি বহরে বড়, ১৪ হাত হয়। এই বিষয়টিও দেখে নেবেন। যদ শাড়ির দাম ৫ হাজারের নীচে হয় তাহলে তা আদৌ কাঞ্জিভরম নয়।





